স্টাফ রিপোর্টার ,নওগাঁঃ আসন্ন কোরবানির ঈদে পশুর চামড়া কেনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন নওগাঁ জেলা চামড়া ব্যবসায়ীরা। ট্যানারি মালিকদের কাছে প্রায় দুই কোটি টাকার মতো পুঁজি আটকে থাকায় তাদের এ দুশ্চিন্তা।
এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীদের ঋণ দিয়ে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর কোরবানির ঈদে জেলায় প্রায় ৮০ হাজারের অধিক গবাদিপশু জবাই হয়ে থাকে।
এরমধ্যে ৩০-৩৫ হাজার গরু। জেলায় প্রতি বছরের কোরবানি মৌসুমে প্রায় দুই কোটি ২৫ লাখ টাকার চামড়া বেঁচাকেনা হয়।
চামড়া ব্যবসায়ী সাদিক হোসেন বলেন, গত তিন বছরে কয়েকটি ট্যানারিতে তার ৩৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা আটকে রয়েছে। সামনে কোরবানি।
কিন্তু কাছে কোনো টাকা নেই। বাপ-দাদার পেশা হওয়ায় ধার দেনা করে হলেও এবার কিছু চামড়া কিনবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নওগাঁ জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সভাপতি মোমতাজ হোসেন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে চামড়া ব্যবসায়ীরা টাকা পাচ্ছে না।
ট্যানারি মালিকরা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। তারা ঋণ নিয়ে আবারও ঋণ খেলাপী করে। সরকার যদি এ ঋণের টাকা ট্যানারি মালিকদের সরাসরি-
না দিয়ে ট্যানারি ফেডারেশন এবং ট্যানারি অ্যাসোসিয়েনের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের চামড়া ব্যবসায়ীদের পাওনা পরিশোধ করতেন তাহলেই সুফল মিলবে।
নওগাঁ জেলা চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর কোরবানিতে স্বল্প মূল্যে চামড়া কিনে তা সংরক্ষণ করে।
পরে চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে। অন্যান্য জেলার তুলনায় নওগাঁয় চামড়া খুব একটা নষ্ট হয় না। তিনি বলেন, ট্যানারি মালিকরা চামড়া ব্যবসায়ীদের পাওনা টাকা না দিয়ে তারা ভিন্ন পন্থা অনুসরণ করে।
যে জেলায় পাওনাদার আছে সেই জেলায় তারা দ্বিতীয়বার নিজে না গিয়ে অভিনব কায়দায় তাদের লোক পাঠিয়ে চামড়া কিনে।
এভাবেই দেশের চামড়া ব্যবসায়ীদের মূলধন আটকে রেখে তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বিভিন্ন ট্যানারির কাছে গত তিন বছরে তার ২৪ লাখ টাকা পাওনা আছেন বলে জানান।