আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ চীনকে যখন পুরো বিশ্ব একঘরে করার উদ্যোগ নিচ্ছে ঠিক তখন তাদের অন্যতম বন্ধু পাকিস্তান এখনও চীনের লেজ ধরে আছে। আর সেই সাহায্য নিয়ে জবরদখল করা ভূমিতে পাকা স্থাপত্য গড়তেও পিছপা নয় তারা।
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ডায়মর–ভাষা বাঁধ নির্মাণের সূচনা বুধবার করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ওই বাঁধ নির্মিত-
হলে ৪৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। কর্মসংস্থান হবে ১৬,০০০ মানুষের। আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার কথা।
কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই যে, ওই বাঁধ নির্মাণের অর্থ যোগাচ্ছে চীন। গত মে মাসে চীনের একটি সরকারি কোম্পানির সঙ্গে ৪৪২ বিলিয়ন টাকার চুক্তি স্বাক্ষরও করেছিল পাকিস্তান।
সেই খবর পেয়েই তৎক্ষণাৎ কড়া ভাষায় নিজেদের আপত্তি জানিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু–কাশ্মীর-
এবং লাদাখের সম্পূর্ণ ভূমিটাই ভারতের অন্তর্গত। পাকিস্তানের জবরদখল করা ভূমিতে নির্মাণকাজ যে অবৈধ সেকথা শুধু পাকিস্তান নয়, চীনকেও বলেছিল ভারত।
সেই আপত্তির তোয়াক্কা না করেই বুধবার গিলগিট–বাল্টিস্তানের চিলাসে নির্মাণের সূচনা করে ইমরান বলেন, তারবেলা এবং মঙ্গলা বাঁধের পর এটাই পাকিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম বাঁধ হবে।
পূর্বতন সরকার তাপবিদুৎ প্রকল্প তৈরি করতে থাকায় এই বাঁধের নির্মাণ ৫০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে বলে আগের সরকারকে কটাক্ষ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।