আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সংকটজনক পরিস্থিতি লাদাখে। এরই মধ্যে চীনকে জবাব দিতে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে বোমারু বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে ভারত। পাহাড় জুড়ে রীতিমতো সমরসজ্জার আয়োজন।
পূর্ব লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে ৪৫ লক্ষ সেনা। চীন থেকে কোনো রকম আগ্রাসন দেখালেই পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সূত্রের খবর, গত কয়েকদিনে দৌলতবেগ ওল্ডিসহ বেশকিছু সীমান্ত এলাকার পাশ দিয়ে চপার উড়িয়েছে চীন। সীমান্তের কাছে নিয়ে এসেছে বোমারু বিমান।
এর জবাবে পূর্ব লাদাখে পাঠানো হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র। ভূমি থেকে আকাশে দ্রুত লক্ষ্যভেদে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভার পৌঁছিয়েছে।
যা দিয়ে নিমেষে শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে ধ্বংস করা সম্ভব। ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে ও ১৮ হাজার মিটার উচ্চতায় থাকা শত্রুদের ঘায়েল করতে পারবে এই প্রযুক্তি।
ফলে বোমারু বিমান উড়ানোর আগে এবার দুবার ভাবতে হবে চীনকে। এখানেই শেষ নয় ভারতের লাদাখে রয়েছে এয়ার সার্ভেল্যান্স রাডার ও যুদ্ধ বিমান। দৌলত বেগ ওল্ডি-সহ ৩ টি বিমানঘাঁটি সক্রিয় করেছে ভারত।
গত এক মাসে পরপর সেনা বহর পৌঁছেছে লাদাখে। এখন দেশের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রেরও সমাবেশ করছে ভারত। C-17 গ্লোবমাস্টারে চাপিয়ে চণ্ডীগড় থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে T– 90 ট্যাংক।
উত্তর ভারতের প্রায় সব ক্যান্টনমেন্ট, বিমান ঘাঁটি থেকে আধুনিক সমরাস্ত্র পাঠানো হচ্ছে লাদাখে।
প্রায় ৪৫ হাজার সেনার সমাবেশ করা হচ্ছে লাদাখে। চীন সীমান্তের ১ হাজার ৫৯৭ কিলোমিটার জুড়ে ৬৫ টি পয়েন্টে জোরদার হয়েছে নজরদারি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের সঙ্গে এই বিরোধ আরও কিছুদিন চলবে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে তুষারপাত। তখন গোটা দেশের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে লাদাখ।