ক্রীড়া ডেস্কঃ গত ম্যাচে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারাতেই লিগ জয়ের রাস্তা অনেকটাই প্রশস্ত হয়ে গিয়েছিল। শেষ ল্যাপে এসে দ্বিতীয়স্থানে থাকা ডর্টমুন্ডের সাত পয়েন্টের ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়া গিয়েছিল।
এই ব্যবধানকে কোনওভাবেই হাতছাড়া করতে রাজি নয় বাভারিয়ানরা। তাই ফ্র্যাঙ্কফুর্টের পর ডাসেলডর্ফকে ফের ৫ গোল দিয়ে এবার ডর্টমুন্ডের থেকে দশ পয়েন্টের ব্যবধান তৈরি করে নিল বায়ার্ন।
যদিও রবিবার রাতে ডর্টমুন্ড জিতলে ব্যবধানটা পুনরায় সাতে নেমে আসবে।
সে যাইহোক। টানা অষ্টমবার লিগ জয় যত দ্রুত সম্ভব নিশ্চিত করে ফেলতে চায় হান্স ফ্লিকের দল। তাই ডাসেলডর্ফের ঘরের মাঠে শনিবার ফের ঝড় তুললেন লেওয়ানদস্কিরা।
শনিবার পোলিশ স্ট্রাইকারের পা থেকে এল দু’গোল। একটি গোল বেঞ্জামিন পাভার্ডের, একটি আলফোন্সো ডেভিয়েসের।
অন্যা রেকটি গোল আত্মঘাতী। যদিও এদিন ম্যাচের ১৫ মিনিটে ডাসেলডর্ফ ডিফেন্ডার ম্যাথিয়াস জোর্গেনসনের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন।
এরপর ২৯ মিনিটে বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি রাইট-ব্যাক বেঞ্জামিন পাভার্ড বায়ার্নের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ডর্টমুন্ড ম্যাচের একমাত্র গোলস্কোরার জোসুয়া কিমিচের কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে স্কোর ২-০ করেন তিনি।
বিরতিতে যাওয়ার দু’মিনিট আগে ম্যাচে লেওয়ানদোস্কির প্রথম গোলটি বায়ার্নের দুরন্ত টিমগেমের ফসল। অর্থাৎ, ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় গত সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
দ্বিতীয়ার্ধের মিনিট পাঁচেকের মধ্যে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি তুলে নেন রবার্ট লেওয়ানদোস্কি। ন্যাবরির ড্রাইভ ক্রস থেকে বিপক্ষ গোলরক্ষককে নাটমেগ করে বল জালে রাখেন পোলিশ স্ট্রাইকার।
এর ঠিক দু’মিনিট বাদে অর্থাৎ মায়চের ৫২ মিনিটেই পাঁচ গোলের বৃত্ত সম্পূর্ণ করেন আলফোন্সো ডেভিয়েস।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সিগন্যাল ইদুনা পার্কে নিষ্প্রাণ ম্যাচে প্রথমার্ধের শেষদিকে জোসুয়া কিমিচের একমাত্র গোলে ডর্টমুন্ডকে হারিয়েছিল বায়ার্ন।
৪৩ মিনিটে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে দুরন্ত চিপ শটে বায়ার্নের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন জার্মান মিডফিল্ডার। আগামী শনিবার পরবর্তী ম্যাচে বায়ার্ন লেভারকুসেনের মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ।