স্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ায় ভাড়া দিতে না পারায় সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাঁচ ছাত্রীকে আটকে রাখেন মেস মালিক। তাদের বাড়ি যেতে দেননি তিনি।
পরে রবিবার (১৭ মে) দুপুরে পুলিশ কামারগাড়ি এলাকার ওই ছাত্রী নিবাস (মেস) থেকে তাদের উদ্ধার করে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্রছাত্রীরা হলে সিট না পেয়ে কামারগাড়ি, জহুরুল নগর, পুরান বগুড়া, জামিল নগরের প্রায় ৫০০ ছাত্রাবাস ও ছাত্রী নিবাসে ভাড়া থাকেন।
তাদের অধিকাংশ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আসা। করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় মালিকরা আগাম দুই মাসের ভাড়া ছাড়া ছাত্রছাত্রীদের কাপড় ও বইখাতা বের করতে দেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
রবিবার দুপুরে শহরের কামারগাড়ি এলাকার শিউলী ছাত্রী নিবাসের ছাত্রীরা বাড়ি যাওয়ার জন্য বই, কাপড় বের করছিলেন। এ সময় ছাত্রী নিবাসের মালিকের কেয়ারটেকার রেণু বেগমসহ অন্যরা আশপাশের ছাত্রী নিবাসের ছাত্রীদের আগাম দুই মাসের ভাড়া ছাড়া বের হতে নিষেধ করেন।
এ সময় ছাত্রীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রী নিবাসের মালিক। এক পর্যায়ে ছাত্রী নিবাসের মালিক ছাত্রীদের ভেতরে রেখে মুল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকরা সেখানে যান। এ সময় শতাধিক ব্যক্তি ও ছাত্রী নিবাসের মালিক একত্রিত হয়ে দাবি করেন এটাই তাদের নিয়ম। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরে ৫ ছাত্রী বই কাপড়-চোপড়সহ বাড়ি যান।
বগুড়া স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫ ছাত্রীকে তালাবদ্ধ রাখা অবস্থা থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই ছাত্রী নিবাসটিতে প্রায় ৫০ জন ছাত্রী থাকতো।
কেয়ারটেকার রেণু বেগম জানান, বাড়ির মালিক হাজী রমজান আলীর সঙ্গে কথা বলেই অন্যান্য মালিকদের নিয়ে তালা ঝুলিয়েছিলাম।
অপর মালিক মাছুম জানান, আমরা ছাত্রী নিবাসের মালিকরা এক হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগাম দুই মাসের ভাড়া ছাড়া কাউকে বই ও কাপড়-চোপড় নিয়ে বাড়ি যেতে দেবো না। তাই ভাড়া না দেওয়ায় তালাবদ্ধ করা হয়।
ওই ছাত্রী নিবাসের থাকা শিক্ষার্থী বিথী জানান, মে মাস পর্যন্ত ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে। আগাম আরও দুই মাসের ভাড়া চায় তারা। করোনার সময় বিভিন্ন ছাত্র ও ছাত্রী নিবাসের মালিকরা জোট হয়ে আমাদের এভাবে নির্যাতন করছে।