ঢাকা ০৭:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষিকার শারীরিক সম্পর্ক

  • আন্তর্জাতিক ডেক্স
  • আপডেট সময় ১২:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

  • Warning: A non-numeric value encountered in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-content/themes/template-pro/template-parts/common/single_two.php on line 103
    ৫৮৬ Time View

মাত্র ১৩ বছর বয়সী একটি বালককে যৌনতার শিকারে পরিণত করেছেন টেক্সাসের ২৭ বছর বয়সী এক শিক্ষিকা আদ্রিয়ানা ম্যারিয়েল রুলান। একবার দু’বার নয়, কমপক্ষে ১২ বার ওই বালকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন তিনি।

এ অভিযোগে আদ্রিয়ানা ম্যারিয়েল রুলানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি টেক্সাসের ল্যারেডোতে অবস্থিত অ্যান্টোনিও গঞ্জালেস মিডল স্কুলের শিক্ষিকা এবং কোচ ছিলেন। এ বিষয়ে আদালতে দেয়া এফিডেভিটে তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশ বলেছে, ওই বালকের সঙ্গে টেক্সট ম্যাসেজের মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপন করেন ওই শিক্ষিকা। এরপর গত ১৮ই আগস্ট থেকে ১৯শে নভেম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ১২ বার স্কুল খোলা থাকার দিনগুলোতে ওই বালকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।

তাদের মধ্যে এই সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর স্ন্যাপচ্যাটে অন্য একটি মেয়েকে আমন্ত্রণ জানায় ওই বালক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আদ্রিয়ানা ম্যারিয়েল রুলান। পুলিশের তথ্যমতে, ১৩ বছর বয়সী ওই বালকের পিতামাতা বিষয়টি জানতে পারেন।

তারা স্কুলে ছুটে যান, যেখানে শিক্ষাদান করেন আদ্রিয়ানা ম্যারিয়েল রুলান। তাদের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত হয়। বালকটির পিতামাতা গোয়েন্দাদের জানান যে, স্থানীয় একটি একাডেমি থেকে কিছু কেনার জন্য তাদের ছেলে নগদ ১৩৩ ডলার পেয়েছিল কারো কাছ থেকে। সে জানিয়েছিল, তার কোনো একজন ভাল বন্ধু এই অর্থ দিয়েছে।

এক পর্যায়ে বালকটির সৎপিতা ক্যাশ অ্যাপ তল্লাশি করেন। তিনি দেখতে পান, তার এই অ্যাপ অর্থে সয়লাব। তা পাঠিয়েছেন রুলান নামের একজন নারী। একাউন্টে তিনি নিজের ‘এভাটার’ হিসেবে একটি কুকুরের ছবি দিয়ে রেখেছেন। কৌতূহলী হয়ে তিনি আরও গভীরে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাতে বেরিয়ে আসে আরও ভয়াবহ তথ্য। তাতে দেখা যায়, যে টেক্সট বিনিময় হয়েছে তাতে গোলাপি হার্টের ইমোজিসহ আদ্রিয়ানা নামের এক নারী পাঠিয়েছেন তা। এ নিয়ে ওই বালকের মুখোমুখি হয় তার পিতামাতা। কিন্তু সে তখন বাড়ি থেকে চলে যায়।

ওদিকে তার উদ্বিগ্ন সৎপিতা আদ্রিয়ানাকে ফোন করেন। তিনি ওই বালকের শিক্ষিকা বলে জানান। তিনি পালিয়ে যাওয়া ওই বালককে সাহায্য করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ওই বালককে উদ্ধার করেন তার সংপিতা। গোয়েন্দারা বলেছেন, এই শিক্ষিকা বার বার ওই বালককে ফোন করেছেন। তাকে বার বার তিনি বাড়ি ফিরে যেতে বলেছেন। তদন্তকালে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, এক পর্যায়ে শিক্ষিকা রুলান ওই বালককে বলেছেন, তিনি ওই বালকের সন্তান পেটে ধারণ করে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েছেন বলেই মনে করছেন।

উপরন্তু বালকটিকে যে ছবি পাঠিয়েছিলেন রুলান তার ছবি পান স্কুলটির প্রিন্সিপাল। এর মধ্যে আছে তার বিকিনি পরা ছবি। আছে আন্ডারওয়্যার পরা ছবি। শরীরের উপরের অংশ খালি- এমন ছবি। যৌনতা বিষয়ক বিভিন্ন ছবি। ওদিকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই বালকটি নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এ জন্য তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়েছে।

ছাত্রের সঙ্গে শিক্ষিকার শারীরিক সম্পর্ক

আপডেট সময় ১২:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

মাত্র ১৩ বছর বয়সী একটি বালককে যৌনতার শিকারে পরিণত করেছেন টেক্সাসের ২৭ বছর বয়সী এক শিক্ষিকা আদ্রিয়ানা ম্যারিয়েল রুলান। একবার দু’বার নয়, কমপক্ষে ১২ বার ওই বালকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন তিনি।

এ অভিযোগে আদ্রিয়ানা ম্যারিয়েল রুলানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি টেক্সাসের ল্যারেডোতে অবস্থিত অ্যান্টোনিও গঞ্জালেস মিডল স্কুলের শিক্ষিকা এবং কোচ ছিলেন। এ বিষয়ে আদালতে দেয়া এফিডেভিটে তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশ বলেছে, ওই বালকের সঙ্গে টেক্সট ম্যাসেজের মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপন করেন ওই শিক্ষিকা। এরপর গত ১৮ই আগস্ট থেকে ১৯শে নভেম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ১২ বার স্কুল খোলা থাকার দিনগুলোতে ওই বালকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।

তাদের মধ্যে এই সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর স্ন্যাপচ্যাটে অন্য একটি মেয়েকে আমন্ত্রণ জানায় ওই বালক। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আদ্রিয়ানা ম্যারিয়েল রুলান। পুলিশের তথ্যমতে, ১৩ বছর বয়সী ওই বালকের পিতামাতা বিষয়টি জানতে পারেন।

তারা স্কুলে ছুটে যান, যেখানে শিক্ষাদান করেন আদ্রিয়ানা ম্যারিয়েল রুলান। তাদের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত হয়। বালকটির পিতামাতা গোয়েন্দাদের জানান যে, স্থানীয় একটি একাডেমি থেকে কিছু কেনার জন্য তাদের ছেলে নগদ ১৩৩ ডলার পেয়েছিল কারো কাছ থেকে। সে জানিয়েছিল, তার কোনো একজন ভাল বন্ধু এই অর্থ দিয়েছে।

এক পর্যায়ে বালকটির সৎপিতা ক্যাশ অ্যাপ তল্লাশি করেন। তিনি দেখতে পান, তার এই অ্যাপ অর্থে সয়লাব। তা পাঠিয়েছেন রুলান নামের একজন নারী। একাউন্টে তিনি নিজের ‘এভাটার’ হিসেবে একটি কুকুরের ছবি দিয়ে রেখেছেন। কৌতূহলী হয়ে তিনি আরও গভীরে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাতে বেরিয়ে আসে আরও ভয়াবহ তথ্য। তাতে দেখা যায়, যে টেক্সট বিনিময় হয়েছে তাতে গোলাপি হার্টের ইমোজিসহ আদ্রিয়ানা নামের এক নারী পাঠিয়েছেন তা। এ নিয়ে ওই বালকের মুখোমুখি হয় তার পিতামাতা। কিন্তু সে তখন বাড়ি থেকে চলে যায়।

ওদিকে তার উদ্বিগ্ন সৎপিতা আদ্রিয়ানাকে ফোন করেন। তিনি ওই বালকের শিক্ষিকা বলে জানান। তিনি পালিয়ে যাওয়া ওই বালককে সাহায্য করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ওই বালককে উদ্ধার করেন তার সংপিতা। গোয়েন্দারা বলেছেন, এই শিক্ষিকা বার বার ওই বালককে ফোন করেছেন। তাকে বার বার তিনি বাড়ি ফিরে যেতে বলেছেন। তদন্তকালে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, এক পর্যায়ে শিক্ষিকা রুলান ওই বালককে বলেছেন, তিনি ওই বালকের সন্তান পেটে ধারণ করে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েছেন বলেই মনে করছেন।

উপরন্তু বালকটিকে যে ছবি পাঠিয়েছিলেন রুলান তার ছবি পান স্কুলটির প্রিন্সিপাল। এর মধ্যে আছে তার বিকিনি পরা ছবি। আছে আন্ডারওয়্যার পরা ছবি। শরীরের উপরের অংশ খালি- এমন ছবি। যৌনতা বিষয়ক বিভিন্ন ছবি। ওদিকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই বালকটি নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এ জন্য তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়েছে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471