ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড Logo ডিবিসির সাংবাদিক সাজুর উপর হামলাকারী কনক কে ১০ দিনেও আটক করতে পারেনি পুলিশ Logo ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৮০ Logo পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব Logo নওগাঁ ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে মারধর Logo পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা Logo ৫ বছর পর দেশে এসেছেন শাবানা Logo নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার Logo মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ Logo বরগুনায় নিজ বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

‘আমরা দিন দিন বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি’

আমরা ক্ষুধায় খুব কষ্ট পাচ্ছি।  দিনে এক বেলা খাবার খাচ্ছি। যেটুকু খাবার ঘরে ছিল, তা-ও শেষ হওয়ার পথে। খাওয়ার পানিও একেবারে শেষ পর্যায়ে। এটি শুধু আমার নয়, পুরো গাজার চিত্র।ঘরে ঘরে ক্ষুধার্ত শিশুর কান্না। ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান থেকে ফেলা বোমায় মানুষ মরছে। কিছু সময় পর পর বোমার শব্দ।

শিশুরাও রক্তাক্ত হচ্ছে। তাদের যখন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্সে করে, সেই অ্যাম্বুল্যান্সেও ইসরায়েল বোমা মারছে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ নেই। যেগুলো আছে সেগুলোও নষ্ট হচ্ছে। কারণ বিদ্যুৎ নেই।

হাসপাতালের হিমঘরে থাকা মরদেহগুলো পচতে শুরু করেছে। পশ্চিমা বিশ্ব, পশ্চিমা গণমাধ্যম এগুলো দেখছে না। যে সাংবাদিকরা এসব ধ্বংসযজ্ঞ, করুণ দৃশ্য দেখানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছেন। ইসরায়েল এসব দৃশ্য বিশ্বের কাছ থেকে আড়াল করতে চায়। এ জন্যই তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

কারণ চার্জ দিতে না পারলে একসময় সব মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আর বাইরের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ থাকবে না। এককথায়, আমরা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি । হামাস নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যম অনেক কথা বলছে। হামাসের প্রতিরোধসংগ্রামকে সন্ত্রাস হিসেবে প্রচার করছে। অথচ প্রতিদিনই ইসরায়েলিরা আমাদের মাতৃভূমি কেড়ে নিচ্ছে। আমাদের ওপর নির্বিচারে গুলি ছুড়ছে। প্রতিদিনই কেউ না কেউ হতাহত হচ্ছে ইসরায়েলিদের গুলিতে। তখন তো কেউ সেগুলোকে বর্বরতা বলে না।

বিশ্ব আমাদের সঙ্গে নেই—এ কথা আমরা বলব না। বলব, পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের সঙ্গে নেই। তারাই আমাদের সমস্যা জিইয়ে রেখেছে। আমাদের তিলে তিলে মারছে। এটি এক দিন, এক সপ্তাহ, এক মাস বা এক বছরের চিত্র নয়। যুগ যুগ ধরে চলছে।  লোকজন যখন আশ্রয়ের খোঁজে তুলনামূলক নিরাপদ এলাকার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তখনো তাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ করছে। এবার তারা ঘোষণা দিচ্ছে, স্থল, নৌ ও আকাশপথে হামলা করবে। আমরা যেন গাজা ছেড়ে যাই।

আমরা যাব কোথায়? এটি আমাদের মাতৃভূমি। আমাদের জন্ম এখানে। দখলদাররা আমাদের ভূখণ্ড ছেড়ে যেতে বলছে! এটা অবিশ্বাস্য! এবার ওরা আমাদের বাঁচার শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নিতে চায়। আমাদের গাজার মানচিত্র থেকে পুরোপুরি মুছে ফেলতে চায়

নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড

‘আমরা দিন দিন বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি’

আপডেট সময় ১১:২৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

আমরা ক্ষুধায় খুব কষ্ট পাচ্ছি।  দিনে এক বেলা খাবার খাচ্ছি। যেটুকু খাবার ঘরে ছিল, তা-ও শেষ হওয়ার পথে। খাওয়ার পানিও একেবারে শেষ পর্যায়ে। এটি শুধু আমার নয়, পুরো গাজার চিত্র।ঘরে ঘরে ক্ষুধার্ত শিশুর কান্না। ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান থেকে ফেলা বোমায় মানুষ মরছে। কিছু সময় পর পর বোমার শব্দ।

শিশুরাও রক্তাক্ত হচ্ছে। তাদের যখন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্সে করে, সেই অ্যাম্বুল্যান্সেও ইসরায়েল বোমা মারছে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ নেই। যেগুলো আছে সেগুলোও নষ্ট হচ্ছে। কারণ বিদ্যুৎ নেই।

হাসপাতালের হিমঘরে থাকা মরদেহগুলো পচতে শুরু করেছে। পশ্চিমা বিশ্ব, পশ্চিমা গণমাধ্যম এগুলো দেখছে না। যে সাংবাদিকরা এসব ধ্বংসযজ্ঞ, করুণ দৃশ্য দেখানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার লক্ষ্যে পরিণত হচ্ছেন। ইসরায়েল এসব দৃশ্য বিশ্বের কাছ থেকে আড়াল করতে চায়। এ জন্যই তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

কারণ চার্জ দিতে না পারলে একসময় সব মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আর বাইরের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ থাকবে না। এককথায়, আমরা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি । হামাস নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যম অনেক কথা বলছে। হামাসের প্রতিরোধসংগ্রামকে সন্ত্রাস হিসেবে প্রচার করছে। অথচ প্রতিদিনই ইসরায়েলিরা আমাদের মাতৃভূমি কেড়ে নিচ্ছে। আমাদের ওপর নির্বিচারে গুলি ছুড়ছে। প্রতিদিনই কেউ না কেউ হতাহত হচ্ছে ইসরায়েলিদের গুলিতে। তখন তো কেউ সেগুলোকে বর্বরতা বলে না।

বিশ্ব আমাদের সঙ্গে নেই—এ কথা আমরা বলব না। বলব, পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের সঙ্গে নেই। তারাই আমাদের সমস্যা জিইয়ে রেখেছে। আমাদের তিলে তিলে মারছে। এটি এক দিন, এক সপ্তাহ, এক মাস বা এক বছরের চিত্র নয়। যুগ যুগ ধরে চলছে।  লোকজন যখন আশ্রয়ের খোঁজে তুলনামূলক নিরাপদ এলাকার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তখনো তাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনী আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ করছে। এবার তারা ঘোষণা দিচ্ছে, স্থল, নৌ ও আকাশপথে হামলা করবে। আমরা যেন গাজা ছেড়ে যাই।

আমরা যাব কোথায়? এটি আমাদের মাতৃভূমি। আমাদের জন্ম এখানে। দখলদাররা আমাদের ভূখণ্ড ছেড়ে যেতে বলছে! এটা অবিশ্বাস্য! এবার ওরা আমাদের বাঁচার শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নিতে চায়। আমাদের গাজার মানচিত্র থেকে পুরোপুরি মুছে ফেলতে চায়


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471