ঢাকা ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নওগাঁয় বিয়ে বাড়ীর খাবার খেয়ে ১ জনের মৃত্যু অসুস্থ ২০ Logo  নওগাঁ-২ আসনে জামায়াত প্রার্থী এনামুল হকের মোটর সাইকেল শোডাউন Logo জয়পুরহাটে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo নওগাঁর মান্দায় এম এ মতীনের বিশাল মোটর সাইকেল শোভা যাত্রা-লিফলেট বিতরণ   Logo নওগাঁয় এক লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে আমচাষীর ৩৫০ গাছ কেটে দিল সন্ত্রাসীরা Logo আমানত সংগ্রহে শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক, ঋণ বিতরণে ব্র্যাক Logo নওগাঁয় ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’-এর পরিচালক তনু গ্রেফতার Logo হাসিনা ও কামালকে ফেরত পাঠাতে দিল্লির প্রতি ঢাকার আহ্বান Logo বিবাহ বার্ষিকীর দিনে ফাঁসির রায় শেখ হাসিনা’র Logo মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসির আদেশ

বিএনপির ২৭ দফা নিয়ে জয়ের প্রশ্ন (ভিডিও)

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত’ করতে ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করে। এরপরই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়, ওই রূপরেখা দিয়ে ‘রাষ্ট্র মেরামত’ কতটা সম্ভব?

এবারও ঠিক এমনই প্রশ্ন রাখলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। যেখানে বলা হয়েছে, যারা ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতি, উগ্রবাদ, সংখ্যালঘু নির্যাতনের মতো ঘটনার সাথে জড়িত ছিল, তাদের পক্ষে ২৭ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ‘রাষ্ট্র মেরামত’ কি আদৌ সম্ভব?

জয়ের শেয়ার করা ভিডিও;

ভিডিওতে বলা হয়, বিএনপি বলছে তারা ক্ষমতায় এলে ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন করবে। অথচ, দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সবার আগে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাদ দিয়েছিল। ধর্মীয় সম্প্রতি নষ্ট করা ছিল প্রথম ধাপ। শুধু তাই নয়, রাজাকারদের ক্ষমা করে রাজনীতি করারও সুযোগ দিয়েছিল জিয়া। সংবিধান ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদেরও দায়মুক্তি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল।

দলটির দ্বিতীয় দফায় বলা হয়, রেইনবো নেশন করে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি বন্ধ করবে। অথচ, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং ২০১৩-১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস এই বিএনপির হাতেই ঘটেছিল।

তৃতীয় দফায় বলা হয়, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। অথচ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন বলেছিলেন, শিশু আর উন্মাদ ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। এই উক্তি দিয়েই দলটির অবস্থান পরিষ্কার হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ২০০৭ সালে ৮ম সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০০৪ সালে চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে দলটি বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

দলটির অষ্টম দফায় বলা হয়, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’ সংশোধন করা হবে। অথচ, ২০০৫-০৬ সালে একতরফাভাবে চারদলীয় জোট সরকার বিচারপতি অবসরপ্রাপ্ত এম এ আজিজকে ২০০৫ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশন হিসেবে নিয়োগ দেয়। সেই কমিশন প্রায় দেড় কোটি ভুয়া ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে।

১৩ দফায় বলা হয়, দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। অথচ, দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল খালেদা জিয়া এবং তার দুই ছেলে। যে দলের দুই প্রধান দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত, তারা কীভাবে দুর্নীতি দূর করবে?

১৬ নম্বর দফায় বলা হয়, নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করা হবে। অথচ, বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যালঘুদের ওপর যে অত্যাচার করেছে তা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ।

১৯ নম্বর দফায় বলা হয়, বৈদেশিক সম্পর্কের বাংলাদেশের স্বার্থ প্রাধান্য। অথচ, বিএনপির প্রথম শাসনামলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গা পানি বণ্টন নিয়ে কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। এই দলটির কাছে দেশের স্বার্থের চাইতে নিজের স্বার্থই বড়। দুই দফায় ক্ষমতায় থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্জন নেই দলটির।

২২ নম্বর দফায় বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন। অথচ, যে দল মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিকে নিয়ে সরকার গঠন করে, রাজাকারদের মন্ত্রিত্ব দেয়, রাজাকারদের বিচার বন্ধ করতে চায় তাদের দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন মানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা।

সর্বাধিক পঠিত

নওগাঁয় বিয়ে বাড়ীর খাবার খেয়ে ১ জনের মৃত্যু অসুস্থ ২০

বিএনপির ২৭ দফা নিয়ে জয়ের প্রশ্ন (ভিডিও)

আপডেট সময় ১০:৫৮:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত’ করতে ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করে। এরপরই রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়, ওই রূপরেখা দিয়ে ‘রাষ্ট্র মেরামত’ কতটা সম্ভব?

এবারও ঠিক এমনই প্রশ্ন রাখলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। যেখানে বলা হয়েছে, যারা ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতি, উগ্রবাদ, সংখ্যালঘু নির্যাতনের মতো ঘটনার সাথে জড়িত ছিল, তাদের পক্ষে ২৭ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ‘রাষ্ট্র মেরামত’ কি আদৌ সম্ভব?

জয়ের শেয়ার করা ভিডিও;

ভিডিওতে বলা হয়, বিএনপি বলছে তারা ক্ষমতায় এলে ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন করবে। অথচ, দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সবার আগে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বাদ দিয়েছিল। ধর্মীয় সম্প্রতি নষ্ট করা ছিল প্রথম ধাপ। শুধু তাই নয়, রাজাকারদের ক্ষমা করে রাজনীতি করারও সুযোগ দিয়েছিল জিয়া। সংবিধান ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদেরও দায়মুক্তি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল।

দলটির দ্বিতীয় দফায় বলা হয়, রেইনবো নেশন করে প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতি বন্ধ করবে। অথচ, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং ২০১৩-১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস এই বিএনপির হাতেই ঘটেছিল।

তৃতীয় দফায় বলা হয়, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। অথচ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন বলেছিলেন, শিশু আর উন্মাদ ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। এই উক্তি দিয়েই দলটির অবস্থান পরিষ্কার হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, ২০০৭ সালে ৮ম সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০০৪ সালে চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে দলটি বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

দলটির অষ্টম দফায় বলা হয়, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’ সংশোধন করা হবে। অথচ, ২০০৫-০৬ সালে একতরফাভাবে চারদলীয় জোট সরকার বিচারপতি অবসরপ্রাপ্ত এম এ আজিজকে ২০০৫ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশন হিসেবে নিয়োগ দেয়। সেই কমিশন প্রায় দেড় কোটি ভুয়া ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে।

১৩ দফায় বলা হয়, দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। অথচ, দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল খালেদা জিয়া এবং তার দুই ছেলে। যে দলের দুই প্রধান দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত, তারা কীভাবে দুর্নীতি দূর করবে?

১৬ নম্বর দফায় বলা হয়, নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করা হবে। অথচ, বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যালঘুদের ওপর যে অত্যাচার করেছে তা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ।

১৯ নম্বর দফায় বলা হয়, বৈদেশিক সম্পর্কের বাংলাদেশের স্বার্থ প্রাধান্য। অথচ, বিএনপির প্রথম শাসনামলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গা পানি বণ্টন নিয়ে কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। এই দলটির কাছে দেশের স্বার্থের চাইতে নিজের স্বার্থই বড়। দুই দফায় ক্ষমতায় থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্জন নেই দলটির।

২২ নম্বর দফায় বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন। অথচ, যে দল মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তিকে নিয়ে সরকার গঠন করে, রাজাকারদের মন্ত্রিত্ব দেয়, রাজাকারদের বিচার বন্ধ করতে চায় তাদের দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন মানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা।


Notice: ob_end_flush(): Failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471