ঢাকা ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে আজ রাত ১টায় মুখোমুখী পিএসজি-ইন্টার

  • কীড়া ডেস্ক:
  • আপডেট সময় ০৭:০৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • ৫৮৯ Time View

আজ শনিবার রাতে মিউনিখে ইন্টার ও পিএসজি’র চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামছে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল মৌসুমের। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় জার্মানির স্টেডিয়াম অ্যালিয়েঞ্জ এরেনায় মুখোমুখি হবে দুই দল।

শক্তির পরীক্ষায় পাস করে দুই দল ফাইনালে। নকআউট পর্বে লিভারপুল ও আর্সেনালকে বিদায় করেছে পিএসজি, আর বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখকে কাঁদিয়ে শিরোপার বেশ কাছে পৌঁছে গেছে ইন্টার। এখন শেষ বাধা টপকানোর পালা, কে পারবে?

ফাইনালের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচে অভিজ্ঞতা একটা বড় ব্যাপার। সেই হিসাবে এই ম্যাচে ফেভারিট ইন্টার। যে একাদশ তারা নামাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেটার গড় বয়স ৩০ বছর চার মাস, অন্যদিকে পিএসজির ২৪ বছর ৭ মাস। দুই বছর আগে সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে খেলা আট জনকে দলে পাচ্ছে ইন্টার। আর পিএসজিতে বর্তমানে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচ বছর আগের ফাইনালে খেলেছিলেন মারকুইনহোস। পাঁচ বছর আগের সেই ফাইনাল ছিল যার ক্যারিয়ারেরও প্রথম। শনিবারের ফাইনালে প্যারিস ক্লাবের তারুণ্যকে ছাপিয়ে অভিজ্ঞতার বিচারে এগিয়ে থাকছে ইতালিয়ান ক্লাব।

শিরোপার এই লড়াইয়ে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন দুই দলের কিপার। ইন্টারের ইয়ান সমার ও পিএসজির জিয়ানলুইজি দোনারুম্মার বীরত্বেই তো সেমিফাইনালের কঠিন পথ পাড়ি দেওয়া গেছে। বার্সার বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে অন্তত পাঁচটি সেভে ইন্টারকে জেতাতে ভূমিকা রাখেন। দোনারুম্মাও পিএসজির হয়ে আর্সেনালের বিপক্ষে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে অসাধারণ সেভ করেন। মার্টিন ওডেগার্ড, গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও বুকায়ো সাকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে লুইস এনরিকের দলকে এগিয়ে রেখেছিলেন ইতালিয়ান কিপার। তাই এই ম্যাচকে দুই কিপারের দ্বৈরথ বললে ভুল হবে না।

তবে ডাগআউটে লুইস এনরিকের উপস্থিতি যেন পিএসজিকে নিয়ে গেছে অন্য এক পর্যায়ে। ২০১৫ সালে বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও কোপা দেল রে জেতানোর ১০ বছর পর আরেকটি ট্রেবল জয়ের সুযোগ তার সামনে। দুটি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে দুইবার ট্রেবল জয়ের বিরল কীর্তিতে পেপ গার্দিওলাকে কি ছুঁতে পারবেন তিনি! এনরিকের বিশ্বাস, মিউনিখে ইতিহাস গড়তে পারবে পিএসজি। ১৯৯৩ সালে মার্শেইর পর দ্বিতীয় ফরাসি ক্লাব হিসেবে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ তাদের সামনে। ২০২০ সালে একমাত্র ফাইনাল খেলে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হারের কষ্টের পুনরাবৃত্তি করতে চায় না ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়নরা।

ট্যাগস

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে আজ রাত ১টায় মুখোমুখী পিএসজি-ইন্টার

আপডেট সময় ০৭:০৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

আজ শনিবার রাতে মিউনিখে ইন্টার ও পিএসজি’র চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামছে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবল মৌসুমের। বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় জার্মানির স্টেডিয়াম অ্যালিয়েঞ্জ এরেনায় মুখোমুখি হবে দুই দল।

শক্তির পরীক্ষায় পাস করে দুই দল ফাইনালে। নকআউট পর্বে লিভারপুল ও আর্সেনালকে বিদায় করেছে পিএসজি, আর বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখকে কাঁদিয়ে শিরোপার বেশ কাছে পৌঁছে গেছে ইন্টার। এখন শেষ বাধা টপকানোর পালা, কে পারবে?

ফাইনালের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচে অভিজ্ঞতা একটা বড় ব্যাপার। সেই হিসাবে এই ম্যাচে ফেভারিট ইন্টার। যে একাদশ তারা নামাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেটার গড় বয়স ৩০ বছর চার মাস, অন্যদিকে পিএসজির ২৪ বছর ৭ মাস। দুই বছর আগে সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে খেলা আট জনকে দলে পাচ্ছে ইন্টার। আর পিএসজিতে বর্তমানে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে পাঁচ বছর আগের ফাইনালে খেলেছিলেন মারকুইনহোস। পাঁচ বছর আগের সেই ফাইনাল ছিল যার ক্যারিয়ারেরও প্রথম। শনিবারের ফাইনালে প্যারিস ক্লাবের তারুণ্যকে ছাপিয়ে অভিজ্ঞতার বিচারে এগিয়ে থাকছে ইতালিয়ান ক্লাব।

শিরোপার এই লড়াইয়ে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন দুই দলের কিপার। ইন্টারের ইয়ান সমার ও পিএসজির জিয়ানলুইজি দোনারুম্মার বীরত্বেই তো সেমিফাইনালের কঠিন পথ পাড়ি দেওয়া গেছে। বার্সার বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে অন্তত পাঁচটি সেভে ইন্টারকে জেতাতে ভূমিকা রাখেন। দোনারুম্মাও পিএসজির হয়ে আর্সেনালের বিপক্ষে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে অসাধারণ সেভ করেন। মার্টিন ওডেগার্ড, গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও বুকায়ো সাকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে লুইস এনরিকের দলকে এগিয়ে রেখেছিলেন ইতালিয়ান কিপার। তাই এই ম্যাচকে দুই কিপারের দ্বৈরথ বললে ভুল হবে না।

তবে ডাগআউটে লুইস এনরিকের উপস্থিতি যেন পিএসজিকে নিয়ে গেছে অন্য এক পর্যায়ে। ২০১৫ সালে বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও কোপা দেল রে জেতানোর ১০ বছর পর আরেকটি ট্রেবল জয়ের সুযোগ তার সামনে। দুটি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে দুইবার ট্রেবল জয়ের বিরল কীর্তিতে পেপ গার্দিওলাকে কি ছুঁতে পারবেন তিনি! এনরিকের বিশ্বাস, মিউনিখে ইতিহাস গড়তে পারবে পিএসজি। ১৯৯৩ সালে মার্শেইর পর দ্বিতীয় ফরাসি ক্লাব হিসেবে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ তাদের সামনে। ২০২০ সালে একমাত্র ফাইনাল খেলে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হারের কষ্টের পুনরাবৃত্তি করতে চায় না ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়নরা।