পল্লী বিদ্যুৎ সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা হিসেবে আখ্যা দিয়ে একে ‘অনভিপ্রেত’ বলে মন্তব্য করেছে সরকার। বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি, এই আন্দোলনের সঙ্গে প্রকৃত ও নিবেদিত পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
সরকারি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ এসোসিয়েশন’ নামক একটি অনিবন্ধিত সংগঠন এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে, যা বৈধ সংগঠন নয় এবং বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব করে না।
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাত দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েক হাজার কর্মী।দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, হয়রানি ও মামলা প্রত্যাহার, এবং আরইবি চেয়ারম্যান অপসারণ।পূর্বের মতো এবার তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ না করলেও, বিভিন্ন এলাকায় গ্রাহক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
গঠনমূলক সংস্কার:ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাঠামোগত সংস্কার প্রস্তাব দেবেন।
পদমর্যাদার ভারসাম্য:অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠিত আরেকটি কমিটি বিদ্যুৎ বিভাগের ও সমিতির কর্মীদের মধ্যে পদমর্যাদার ভারসাম্য আনতে কাজ করছে।
শৃঙ্খলা ও বিচারের নীতিমালা:যারা সরাসরি নাশকতায় জড়িত নন, তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা পুনঃবিবেচনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
মানবিক বদলি নীতি:৩ হাজার ৭৯ জন দম্পতিকে একত্রিত কর্মস্থলে বদলি করা হয়েছে এবং আরও কয়েকজনকে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
দায়েরকৃত মামলাগুলো সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এবং বিচারাধীন। বিচারব্যবস্থা স্বাধীন এবং অভিযুক্তদের আইনি প্রক্রিয়ায় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ রয়েছে।
আগস্ট ২০২৪ থেকে এখন পর্যন্ত ৬,০২৫ জন কর্মীকে চাকরিতে স্থায়ীকরণ করা হয়েছে।ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য শ্রম আইন অনুযায়ী অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
“রাষ্ট্রীয় দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আন্দোলনকারী কর্মচারীদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে,” — এমন বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।