ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নয়, শুধুই জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে রাজি হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেটিও মাত্র ৩০ দিনের জন্য।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে ৯০ মিনিট কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি পুতিনকে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন। তবে পুতিন ৩০ দিনের জন্য ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোগুলোতে হামলা বন্ধ রাখতে রাজি হয়েছেন।
ট্রাম্প পুতিনের ফোনালাপ শেষে গতকাল হোয়াইট হাউস ও ক্রেমিলন—উভয়ের পক্ষ থেকেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ক্রিমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুতিন ৩০ দিনের জন্য ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো আক্রমণ বন্ধে রাজি হয়েছেন। যদিও ইউক্রেন ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের বিষয়ে এখনো তাদের অবস্থান নিশ্চিত করেনি।
ক্রেমলিন আরও জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে খুব দ্রুত আলোচনা শুরু হবে। পাশাপাশি বুধবার (১৯ মার্চ) রাশিয়া এবং ইউক্রেন ১৭৫ জন যুদ্ধবন্দি বিনিময় করবে এবং রাশিয়ায় চিকিৎসা নেওয়া ২৩ জন গুরুতর আহত ইউক্রেনীয় সৈন্যকে স্থানান্তর করা হবে।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউস তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি শুরু হচ্ছে দেশটির বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধের মধ্য দিয়ে। এ ব্যাপারে দুই নেতাই সম্মত হয়েছেন। একই সঙ্গে কৃষ্ণ সাগরে একটি সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া প্রযুক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি এবং স্থায়ী শান্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ক্রেমলিন এর আগে জানিয়েছিল, তারা ইউক্রেনে বিদেশি সামরিক সহায়তা বন্ধ দেখতে চায়। যুদ্ধের তীব্রতা থামানো এবং কূটনৈতিক উপায়ে যুদ্ধের অবসানের জন্য বিদেশি সামরিক সহায়তা বন্ধ করা সবচেয়ে জরুরি বলে মন্তব্য করেছিল রাশিয়া।