ঢাকা ০১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়: আসিফ নজরুল

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ভাঙচুর ও পতাকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ভারতের উদ্দেশে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি ভারত, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে রীতিমত ধুয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া ভারতের উদ্দেশে প্রশ্ন করে লিখেছেন, এমন ঘটনা মুসলিম সংঘর্ষ সমিতি নামে কোনো সংগঠন এমন কাজ করলে ভারত কী ভূমিকা রাখতো?আসিফ নজরুলের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো…

আজকে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন তছনছ করা হয়েছে, বাংলাদেশের পতাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রশ্ন করি, এই ঘটনা ‘মুসলিম সংঘর্ষ সমিতি ‘ নামের কোন সংগঠন বাংলাদেশে করলে কেমন আক্রমণাত্মক প্রচারণায় মেতে উঠতো ভারত?

আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব ভারতীয় সরকারের। তারা এটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার নিন্দা জানাই।নিন্দা জানাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্তব্যের। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যা ঘটে, সংখ্যালঘু ও দলিত সম্প্রদায়ের উপর, এরজন্য বরং উল্টো ভারতের (এবং মমতার) লজ্জিত হওয়া উচিত।

ভারতে বলি, আমরা সমমর্যাদা আর সমানাধিকার ভিত্তিক বন্ধুত্বে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনার সরকার বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকার লোভে ভারত-তোষণ নীতিতে বিশ্বাসী ছিল। তবে ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এই বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম ও আত্মমর্যাদাশীল। এই বাংলাদেশ নির্ভীক একটি তরুণ সম্প্রদায়ের।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়: আসিফ নজরুল

আপডেট সময় ১১:০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ভাঙচুর ও পতাকায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ভারতের উদ্দেশে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি ভারত, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে রীতিমত ধুয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া ভারতের উদ্দেশে প্রশ্ন করে লিখেছেন, এমন ঘটনা মুসলিম সংঘর্ষ সমিতি নামে কোনো সংগঠন এমন কাজ করলে ভারত কী ভূমিকা রাখতো?আসিফ নজরুলের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো…

আজকে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন তছনছ করা হয়েছে, বাংলাদেশের পতাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রশ্ন করি, এই ঘটনা ‘মুসলিম সংঘর্ষ সমিতি ‘ নামের কোন সংগঠন বাংলাদেশে করলে কেমন আক্রমণাত্মক প্রচারণায় মেতে উঠতো ভারত?

আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব ভারতীয় সরকারের। তারা এটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার নিন্দা জানাই।নিন্দা জানাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্তব্যের। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যা ঘটে, সংখ্যালঘু ও দলিত সম্প্রদায়ের উপর, এরজন্য বরং উল্টো ভারতের (এবং মমতার) লজ্জিত হওয়া উচিত।

ভারতে বলি, আমরা সমমর্যাদা আর সমানাধিকার ভিত্তিক বন্ধুত্বে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনার সরকার বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকার লোভে ভারত-তোষণ নীতিতে বিশ্বাসী ছিল। তবে ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এই বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম ও আত্মমর্যাদাশীল। এই বাংলাদেশ নির্ভীক একটি তরুণ সম্প্রদায়ের।