মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা ১৬ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
ফেরত আনা জেলেরা হলেন,কক্সবাজারের রামু উপজেলার তুরিঙ্গাকাটা প্রামের মৃত হোসেন আহমেদের ছেলে মোঃ ইসমাইল (২৭), কক্সবাজার সদরের মৃত কেফায়েত উল্লাহর ছেলে আব্দুল হাফেজ (২৮),মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আজিজুর রহমান (৪৫), মৃত অলি আহমদের ছেলে আবু হেনা (৪০),মৃত ঠান্ডু মিয়ার ছেলে আলী (৪০), মোস্তাকের ছেলে আরাফাত (৩০), তোফাজ্জলের ছেলে মো. হেলাল (২৮),মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে আমান উল্লাহ (৫০),মো. ওয়ারেজের ছেলে নবী হোসেন (২৮), মৃত মুকবুল আহমেদের ছেলে মো. সলিমুল্লাহ (৪৫), মৃত আমির হোসেনের ছেলে মো. ইউনুস (৫২),মোহাম্মদের ছেলে মো. সাগর (২২), আলী আকবরের ছেলে মো. সেলিম (২৮), মোস্তাক আহমদের ছেলে দিল মোহাম্মদ (২৭) এবং মৃত মুকবুল হোসেনের ছেলে রহিম উল্লাহ (৫২) ও মো. জয়নাল (৫৫)।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বিষয়টি জানিয়েছেন।তিনি জানান,২৮সেপ্টেম্বর সকালে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া ফিশারি ঘাট থেকে ১৬ জন জেলে একটি ট্রলারে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান। গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় তিনটি ট্রলারে করে অজ্ঞাত সন্ত্রাসী বা ডাকাতদল ওই জেলেদের মারধর করে তাদেরকে ট্রলারের ডেকের ভেতরে বন্দি করে রাখে।
গত ৭ অক্টোবর ভোরে সন্ত্রাসীদল জেলেদেরকে বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার অংশে একটি চরে ছেড়ে দেয়। পরে জেলেরা মিয়ানমারের আরাকান আর্মির কাছে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। জেলেরা প্রায় ছয়দিন আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকার পর গত ১৩ অক্টোবর তাদের আটকের বিষয়টি বিজিবিকে অবহিত করেন। আরাকান আর্মির সঙ্গে আলোচনার পর সোমবার সন্ধ্যা বিজিবির একটি প্রতিনিধিদল নাফনদীর শূন্যরেখায় যায়। আলোচনার পর ১৬ জেলেকে ফেরত দিয়েছে আরাকান আর্মি। তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।