নওগাঁয় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ বাদি হয়ে এ মামলা করেন।
সোমবার (১৩ আগস্ট) রাতে সদর মডেল থানায় করা এজাহারে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৯২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ২৫০ জনকে।
এর আগে গত ৩ আগস্ট কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন শহরের কেডির মোড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে আওয়ামী লীগ ও দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি ও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৩ আগস্ট নওগাঁর রাজপথ যখন কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের স্লোগানে উত্তাল ঠিক সেই মুহূর্তে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের কেডির মোড়ে অস্ত্রসহ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে গোলাগুলি করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস তুহিন রেজার নেতৃত্বে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে চেয়ার, টেবিল, টিভি, ভ্যানসহ ভেতরে থাকা সবকটি জিনিসপত্র ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ জাগো নিউজকে বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ওইদিন দলীয় কার্যালয়ে তান্ডব চলানোর পাশাপাশি পুরো শহরে অরাজকতা ছড়াতে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে। ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। শান্তির শহর নওগাঁকে যারা অশান্ত করেছিলো তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল ওয়াদুদ জাগো নিউজকে বলেন, গত ৩ আগস্ট বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ৯২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনের নামে মামলা করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে মাহবুব কাদের ফাহিম নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।