ঢাকা ০৯:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের দাফন সম্পন্ন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমিনুল হকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় নজিপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে নামাজের প্রথম জানাজা এবং বাদ যোহর গ্রামের বাড়ি লক্ষণ পাড়ায় দ্বিতীয় নামাজের জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

প্রবীণ এই রাজনীতিবিদকে এক নজর দেখা ও জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। নামাজের জানাজার পূর্বে এই বর্ষীয়ান নেতার জীবণ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল খালেক চৌধুরী, নজিপুর পৌর মেয়র রেজাউল কবির চৌধুরী প্রমুখ। এর আগে শুক্রবার বিকেলে লাশবাহী গাড়ি নজিপুর বাসভবনে পৌঁছলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমিনুল হক ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একাধিকবার পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৬ সালে তিনি পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্রে বিভিন্ন অসঙ্গগতি তুলে ধরে তার প্রার্থীতা বাতিল করে দেয়।

পরবর্তীতে তিনি প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার জন্য হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত বুধবার তার বাবার প্রার্থীতা বৈধ বলে রায় দেন এবং বৃহস্পতিবার নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ঈগল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান। স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের মৃত্যুতে নির্বাচন কমিশন শুক্রবার বিকেলে নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।

নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের দাফন সম্পন্ন

আপডেট সময় ০৪:২৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-২ (পত্নীতলা ও ধামইরহাট) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমিনুল হকের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টায় নজিপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে নামাজের প্রথম জানাজা এবং বাদ যোহর গ্রামের বাড়ি লক্ষণ পাড়ায় দ্বিতীয় নামাজের জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

প্রবীণ এই রাজনীতিবিদকে এক নজর দেখা ও জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। নামাজের জানাজার পূর্বে এই বর্ষীয়ান নেতার জীবণ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল খালেক চৌধুরী, নজিপুর পৌর মেয়র রেজাউল কবির চৌধুরী প্রমুখ। এর আগে শুক্রবার বিকেলে লাশবাহী গাড়ি নজিপুর বাসভবনে পৌঁছলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আমিনুল হক ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত একাধিকবার পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৬ সালে তিনি পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্রে বিভিন্ন অসঙ্গগতি তুলে ধরে তার প্রার্থীতা বাতিল করে দেয়।

পরবর্তীতে তিনি প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার জন্য হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত বুধবার তার বাবার প্রার্থীতা বৈধ বলে রায় দেন এবং বৃহস্পতিবার নওগাঁ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ঈগল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান। স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের মৃত্যুতে নির্বাচন কমিশন শুক্রবার বিকেলে নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।