নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে আছেন। তাদের কাছে অভিযোগ আসুক কিংবা না আসুক তারা সবকিছুই পর্যবেক্ষণ করছে। আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের প্রতিটা কার্যক্রমে নজর রয়েছে কমিশনের।
কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগামীতেও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা। মতবিনিময় শেষে বিকেল ৩টার দিকে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ দেশের প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়া নিয়ে যারা এখনো ভয় পাচ্ছেন তাদের ধারণা একেবারেই ভুল। বর্তমান কমিশন ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে আইন সংশোধন করেছে। আগে ভোটারদের ভোট প্রয়োগে বাধা দিলে, ভয়ভীতি দেখালে বা হুমকি দিলে শাস্তির আওতায় আনার সুযোগ ছিল না। এখন আরপিও সংশোধন করে তাদের অপরাধের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ ভয়ভীতি দেখালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গিয়ে নির্ভয়ে বলবেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করলে তাদের আইনের আওতায় আনার সুযোগ ছিল না কমিশনের। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সেই আইন করেছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা, ইকুইপমেন্ট ছিনিয়ে নেওয়া বা ভয়ভীতি দেখানো অপরাধের আওতায় আসবে। এই ধরনের অভিযোগ পেলে সাংবাদিকদের আইনগত সহযোগিতা করা হবে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম মওলা’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনসহ সরকারি কর্মকর্তা ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।