ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ Logo ঈদ ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হয়: শাকিব খান Logo যুক্তরাজ্যে গেলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু! Logo নওগাঁ ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা Logo নির্বাচন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন, নয়তো ষড়যন্ত্র বাড়বে: তারেক রহমান Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা

নওগাঁয় মুগ্ধতা ছড়ালো গ্রামীণ ঐতিহ্যের লাঠিখেলা ও বাইচ খেলা !

সময়ের ক্রমবির্বতনে মানুষ আধুনিক ছোয়ার পরশ পেয়ে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাচীন রিতিনীতি গুলো । যা চিরো দিনর জন্য হারিয়ে যেতে বসেছে । এরি মাঝে বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে নওগাঁ সদর উপজেলা  শৈলগাছী ইউনিয়নে অনুষ্টিত হয়ে গেলো ঐতিবাহী লাঠিখেলা ও নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।

এসব উৎসবের আয়োজন করেণগুমারদহ মেলা পরিচালোক কমিটি । এদিকে, লাঠিখেলা ও নৌকাবাইচের আয়োজন ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করছিল উৎসবের আমেজ। দীর্ঘদিন পর বিলুপ্তপ্রায় লাঠিখেলা দেখে উচ্ছ্বাসিত গ্রামবাংলার মানুষেরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা ও নৌকাবাইচ দেখতে দুপুরের পর থেকেই দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসে নানা বয়সী মানুষ। একটি বাড়ির আঙিনায় স্থানীয় কয়েকজন লাঠিয়াল একত্রিত হন। সেখানে লাঠিয়ালদের গানের তালে তালে ঢাক, ঢোল আর কাঁসার ঘণ্টার শব্দে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। খেলায় ঢাকের তালে তালে লাঠিয়ালরা প্রথমে শারীরিক কসরত ও অঙ্গভঙ্গি দেখান। বেশ কিছুক্ষণ চলে এই কসরত। এরপরই শুরু হয় মূল আকর্ষণ। ২ জন লাঠিয়াল শব্দের তালে তালে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন একে অন্যের ওপর। এ সময় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চলে প্রতিপক্ষকে হারানোর অদম্য চেষ্টা। এমন দৃশ্য দেখে আনন্দে উচ্ছ্বাসিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসী ও দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসা দর্শনার্থীরা।

জিল্লুর রহমান নামে এক দর্শক বলেন, অনেক ছোটবেলায় একবার লাঠিখেলা দেখেছিলাম। অনেক দিনপর আজ দেখলাম খুবই ভালো লাগলো। আজকের বিকেলটা সত্যি অনেক সুন্দর কাটলো। আরেক দর্শক ইসমাইল হোসেন বলেন, ছোটবেলায় আমরা গ্রামে গ্রামে লাঠিখেলাসহ বিভিন্ন ধরনের খেলা দেখতে পেতাম। কিন্তু এখন সেসব খেলা হারিয়ে গেছে। অনেকদিন পরে আজ লাঠিখেলা দেখলাম। বেশ ভালো লাগছে।

সুমাইয়া আক্তার (১০) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী বলে, এই প্রথম লাঠিখেলা দেখলাম। খুব আনন্দ লাগছে। বাবার সঙ্গে এসেছি। লাঠিখেলা দেখে নৌকাবাইচ দেখবো।

লাঠিয়াল আব্দুর রহমান বলেন, আগে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে লাঠি খেলতাম অনেক জমজমাট হতো। লাঠি খেলে আমরাও যেমন আনন্দ পেতাম গ্রামের মানুষও আনন্দ পেতো। কিন্তু আগের মতো এখন আর এই খেলার আয়োজন হয় না। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা বন্ধু, বড় ভাই-ছোট ভাইরা মিলে বছরে দুই-একবার খেলে থাকি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা করলে আবারও এই খেলা আগের মতো চালু হবে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে বিনোদনের উৎস গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা ও নৌকাবাইচ। এসব খেলা আবারও সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এমন আয়োজন। লাঠিখেলা ও নৌকাবাইচ দেখে দর্শকরাও মুগ্ধ হয়েছে। আগামীতে এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখা হবে।

বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

নওগাঁয় মুগ্ধতা ছড়ালো গ্রামীণ ঐতিহ্যের লাঠিখেলা ও বাইচ খেলা !

আপডেট সময় ০১:৪১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

সময়ের ক্রমবির্বতনে মানুষ আধুনিক ছোয়ার পরশ পেয়ে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাচীন রিতিনীতি গুলো । যা চিরো দিনর জন্য হারিয়ে যেতে বসেছে । এরি মাঝে বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে নওগাঁ সদর উপজেলা  শৈলগাছী ইউনিয়নে অনুষ্টিত হয়ে গেলো ঐতিবাহী লাঠিখেলা ও নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।

এসব উৎসবের আয়োজন করেণগুমারদহ মেলা পরিচালোক কমিটি । এদিকে, লাঠিখেলা ও নৌকাবাইচের আয়োজন ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করছিল উৎসবের আমেজ। দীর্ঘদিন পর বিলুপ্তপ্রায় লাঠিখেলা দেখে উচ্ছ্বাসিত গ্রামবাংলার মানুষেরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা ও নৌকাবাইচ দেখতে দুপুরের পর থেকেই দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসে নানা বয়সী মানুষ। একটি বাড়ির আঙিনায় স্থানীয় কয়েকজন লাঠিয়াল একত্রিত হন। সেখানে লাঠিয়ালদের গানের তালে তালে ঢাক, ঢোল আর কাঁসার ঘণ্টার শব্দে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। খেলায় ঢাকের তালে তালে লাঠিয়ালরা প্রথমে শারীরিক কসরত ও অঙ্গভঙ্গি দেখান। বেশ কিছুক্ষণ চলে এই কসরত। এরপরই শুরু হয় মূল আকর্ষণ। ২ জন লাঠিয়াল শব্দের তালে তালে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন একে অন্যের ওপর। এ সময় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চলে প্রতিপক্ষকে হারানোর অদম্য চেষ্টা। এমন দৃশ্য দেখে আনন্দে উচ্ছ্বাসিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসী ও দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসা দর্শনার্থীরা।

জিল্লুর রহমান নামে এক দর্শক বলেন, অনেক ছোটবেলায় একবার লাঠিখেলা দেখেছিলাম। অনেক দিনপর আজ দেখলাম খুবই ভালো লাগলো। আজকের বিকেলটা সত্যি অনেক সুন্দর কাটলো। আরেক দর্শক ইসমাইল হোসেন বলেন, ছোটবেলায় আমরা গ্রামে গ্রামে লাঠিখেলাসহ বিভিন্ন ধরনের খেলা দেখতে পেতাম। কিন্তু এখন সেসব খেলা হারিয়ে গেছে। অনেকদিন পরে আজ লাঠিখেলা দেখলাম। বেশ ভালো লাগছে।

সুমাইয়া আক্তার (১০) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী বলে, এই প্রথম লাঠিখেলা দেখলাম। খুব আনন্দ লাগছে। বাবার সঙ্গে এসেছি। লাঠিখেলা দেখে নৌকাবাইচ দেখবো।

লাঠিয়াল আব্দুর রহমান বলেন, আগে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে লাঠি খেলতাম অনেক জমজমাট হতো। লাঠি খেলে আমরাও যেমন আনন্দ পেতাম গ্রামের মানুষও আনন্দ পেতো। কিন্তু আগের মতো এখন আর এই খেলার আয়োজন হয় না। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা বন্ধু, বড় ভাই-ছোট ভাইরা মিলে বছরে দুই-একবার খেলে থাকি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা করলে আবারও এই খেলা আগের মতো চালু হবে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে বিনোদনের উৎস গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা ও নৌকাবাইচ। এসব খেলা আবারও সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এমন আয়োজন। লাঠিখেলা ও নৌকাবাইচ দেখে দর্শকরাও মুগ্ধ হয়েছে। আগামীতে এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখা হবে।