ঢাকা ০২:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বমন্দায় দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা রাখাই প্রধানমন্ত্রীর শ্রেষ্ঠ অর্জন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

করোনা মোকাবিলায় ঈর্ষণীয় সাফল্য ও বিশ্বমন্দায় অর্থনীতি চাঙ্গা রাখাকে ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রেষ্ঠ অর্জন বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মহামারি কালে তার সাহস ও বিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্তেই কৃষি, শিল্প, শিক্ষাসহ প্রায় সব খাত সচল ছিল বলে মত তাদের। আর এসব কারণেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মিলেছে প্রশংসা ও স্বীকৃতি।

২০২১ সালেও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে সামনে ছিল করোনা মহামারি। একদিকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ, অন্যদিকে জীবিকার সংস্থান সমীকরণটা সহজ ছিল না মোটেও। তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় বছরের শুরুর মাসেই টিকা পায় দেশ। হাসপাতালে বাড়ানো হয় করোনা চিকিৎসার পরিধি। বৈশ্বিক ওষুধের জরুরি ব্যবহারে দ্রুত দেয়া হয় অনুমোদন। এতে অন্য দেশের তুলনায় লকডাউন ছিল অল্প মেয়াদি।

অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান জানান, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় সচল ছিল অর্থনীতি। খুব বেশিদিন বন্ধ থাকেনি কল-কারখানা। বাণিজ্য বাড়াতে নেয়া হয় নানা পদক্ষেপ। পরিধি বাড়ে প্রণোদনা প্যাকেজের। ঋণ শোধে ছাড় পান শিল্পমালিকরা। বাজেটে কমানো হয় করপোরেট করের চাপও। নিম্নবিত্ত পায় নগদ টাকা ও খাদ্য সহায়তা। এক লাখ ১৮ হাজার গৃহহীন পায় জমি ও ঘর, এ দৃষ্টান্ত বিশ্বে বিরল।

শিক্ষাবিদ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, করোনা মহামারির কারণে বেশির ভাগ অনুষ্ঠান-কর্মসূচিতে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। এ বছর এক হাজারের বেশি অনলাইন সভা-সেমিনামে যুক্ত হয়ে উদ্দীপ্ত করেন নানা দপ্তর ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে।

২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিশ্বজুড়েই নানা স্বীকৃতি ও প্রশংসা পেয়েছেন শেখ হাসিনা। মিলেছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সম্মাননা। উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণের চূড়ান্ত যোগ্যতা অর্জন করায় উজ্জ্বল হয়েছে দেশের ভাবমূর্তি।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

বিশ্বমন্দায় দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা রাখাই প্রধানমন্ত্রীর শ্রেষ্ঠ অর্জন

আপডেট সময় ১২:০৫:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১

করোনা মোকাবিলায় ঈর্ষণীয় সাফল্য ও বিশ্বমন্দায় অর্থনীতি চাঙ্গা রাখাকে ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রেষ্ঠ অর্জন বলছেন বিশেষজ্ঞরা। মহামারি কালে তার সাহস ও বিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্তেই কৃষি, শিল্প, শিক্ষাসহ প্রায় সব খাত সচল ছিল বলে মত তাদের। আর এসব কারণেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মিলেছে প্রশংসা ও স্বীকৃতি।

২০২১ সালেও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে সামনে ছিল করোনা মহামারি। একদিকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ, অন্যদিকে জীবিকার সংস্থান সমীকরণটা সহজ ছিল না মোটেও। তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় বছরের শুরুর মাসেই টিকা পায় দেশ। হাসপাতালে বাড়ানো হয় করোনা চিকিৎসার পরিধি। বৈশ্বিক ওষুধের জরুরি ব্যবহারে দ্রুত দেয়া হয় অনুমোদন। এতে অন্য দেশের তুলনায় লকডাউন ছিল অল্প মেয়াদি।

অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান জানান, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় সচল ছিল অর্থনীতি। খুব বেশিদিন বন্ধ থাকেনি কল-কারখানা। বাণিজ্য বাড়াতে নেয়া হয় নানা পদক্ষেপ। পরিধি বাড়ে প্রণোদনা প্যাকেজের। ঋণ শোধে ছাড় পান শিল্পমালিকরা। বাজেটে কমানো হয় করপোরেট করের চাপও। নিম্নবিত্ত পায় নগদ টাকা ও খাদ্য সহায়তা। এক লাখ ১৮ হাজার গৃহহীন পায় জমি ও ঘর, এ দৃষ্টান্ত বিশ্বে বিরল।

শিক্ষাবিদ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, করোনা মহামারির কারণে বেশির ভাগ অনুষ্ঠান-কর্মসূচিতে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। এ বছর এক হাজারের বেশি অনলাইন সভা-সেমিনামে যুক্ত হয়ে উদ্দীপ্ত করেন নানা দপ্তর ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে।

২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিশ্বজুড়েই নানা স্বীকৃতি ও প্রশংসা পেয়েছেন শেখ হাসিনা। মিলেছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সম্মাননা। উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণের চূড়ান্ত যোগ্যতা অর্জন করায় উজ্জ্বল হয়েছে দেশের ভাবমূর্তি।