ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন শাড়ি না পাওয়ায় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, রাতে মরদেহ উদ্ধার

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় গলায় ফাঁস দিয়ে দিথি রাণী (১৮) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (১১ অক্টোবর) দিনগত রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃত দিথি রাণী উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে নাপিতপাড়া গ্রামের ভমর রায়ের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুমাস আগে বড় বোনের দেবর রাজমিস্ত্রি ভমর রায়ের সঙ্গে ভালোবেসে দিথি রাণীর বিয়ে হয়। রোববার ভূল্লী বাজারে স্বামীর সঙ্গে কেনাকাটা করতে যান তিনি। এ সময় দামি শাড়ি কিনতে চান দিথি। কিন্তু স্বামী শাড়ি কিনে না দেওয়ায় বাসায় গিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।

বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে মধ্যরাতে দিথি শোয়ার ঘরে ফ্যানের সিলিংয়ের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন। তার স্বামী ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রংপুরে রেফার করেন। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

তার বাবা-মায়ের দাবি, তাদের মেয়েকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রাকিবুল ইসলাম চয়ন বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছিল। ঘণ্টাখানেক পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো রাখা হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস

নতুন শাড়ি না পাওয়ায় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, রাতে মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৪:১৬:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় গলায় ফাঁস দিয়ে দিথি রাণী (১৮) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (১১ অক্টোবর) দিনগত রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃত দিথি রাণী উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে নাপিতপাড়া গ্রামের ভমর রায়ের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুমাস আগে বড় বোনের দেবর রাজমিস্ত্রি ভমর রায়ের সঙ্গে ভালোবেসে দিথি রাণীর বিয়ে হয়। রোববার ভূল্লী বাজারে স্বামীর সঙ্গে কেনাকাটা করতে যান তিনি। এ সময় দামি শাড়ি কিনতে চান দিথি। কিন্তু স্বামী শাড়ি কিনে না দেওয়ায় বাসায় গিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।

বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে মধ্যরাতে দিথি শোয়ার ঘরে ফ্যানের সিলিংয়ের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন। তার স্বামী ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রংপুরে রেফার করেন। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

তার বাবা-মায়ের দাবি, তাদের মেয়েকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রাকিবুল ইসলাম চয়ন বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছিল। ঘণ্টাখানেক পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো রাখা হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।