এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৭ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৩ রান। অধিনায়ক টেলর ৩৩ ও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা ডিয়ন মায়ার্স ২ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। সিরিজে সমতা ফেরানোর ম্যাচে নিজেদের একাদশে জোড়া পরিবর্তন এনেছে জিম্বাবুয়ে।
দুটি পরিবর্তনই ইনজুরির কারণে। চোট থাকায় এ ম্যাচে খেলা হচ্ছে না রায়ার্ন বার্ল ও টিমসেন মারুমার। এ দুজনের জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন সিকান্দার রাজা ও তিনাশে কামুনহুকামুই। প্রথম ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশ দিয়েই খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ।
টস হেরে আগে ফিল্ডিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই দলকে উল্লাসে মাতিয়েছেন ডান হাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। তার করা প্রথম ওভারের শেষ বলে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে দাঁড়ানো আফিফ হোসেন ধ্রুবর হাতে ধড়া পড়েছেন ডানহাতি ওপেনার তিনাশে কামুনহুকামুই।
টিমসেন মারুমার ইনজুরির কারণে এই ম্যাচের মূল একাদশে জায়গা পেয়েছেন কামুনহুকামুই। কিন্তু সুযোগটি কাজে লাগাতে পারলেন না তিনি। আউট হওয়ার আগে ৫ বল খেলে করতে পেরেছেন মাত্র ১ রান। সেই রানটিও এসেছিল আউটসাইড এজ থেকে।
তবে সাইফউদ্দিনের করা চতুর্থ ওভারে জোড়া বাউন্ডারিতে ১০ রান তুলে ড্রেসিংরুমে ইতিবাচক বার্তা দেন আগের ম্যাচে দলের পক্ষে একমাত্র হাফসেঞ্চুরিয়ার চাকাভা। তাসকিনের করা পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে মিড অনে মাহমুদউল্লাহ ও ডিপ থার্ড ম্যানে মারুমানির ক্যাচ ছেড়ে দেন সাইফউদ্দিন।
অবশ্য জোড়া জীবন পেয়েও কিছুই করতে পারেননি মারুমানি। ষষ্ঠ ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে আসেন মিরাজ। প্রথম চার বল খেলেন চাকাভা। পঞ্চম বলে স্ট্রাইক পেয়েই বড় শটের চেষ্টা করেন মারুমানি। কিন্তু বল তার ব্যাট ও পা হয়ে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। ফলে সমাপ্তি ঘটে ১৮ বলে ১৩ রানের ইনিংসের।
মাত্র ৩৩ রানে জোড়া উইকেট পতনের পর উইকেটে আসেন টেলর। শুরু থেকেই খেলতে থাকেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে। বিশেষ করে সাকিবের ওভারে ইনসাইড আউট শটে বাউন্ডারি কিংবা শরিফুল ইসলামের ওভারে ফ্লিক শটে ছক্কা মেরে নিজের কর্তৃত্বেরই জানান দেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।
টেলরের আধিপত্য বিস্তার করা ব্যাটিংয়ে তৃতীয় উইকেট জুটিটি এগুচ্ছিল পঞ্চাশ রানের দিকে। তবে এর আগেই চাকাভার ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলিয়ে স্ট্যাম্পে আঘাত করান সাকিব। ফলে বিদায়ঘণ্টা বাজে ২৬ রান করা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান চাকাভার। আগের ম্যাচেও চাকাভার উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব।