
ডিমলা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা, ভাঙ্গন ও বন্যা রোধের দাবীতে নদীর দুই তীরে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও কমিটির আয়োজনে মানববন্ধন করা হয়।
রোববার সকালে পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালীগঞ্চ, পূর্ব ছাতনাই, দোহলপাড়া, তেলির বাজার তিস্তা ব্যারেজের সামনে, বাইশ পুকুর, ঝুনাগাছ চাপানির কেল্লা পাড়া, আশ্রয়ন প্রকল্পের মাঠে, গুচ্ছ গ্রাম ও সাতারুর চৌপথীতে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ অংশগ্রহন করন।
উক্ত মানববন্ধনে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার ১১৫ কিলোমিটারের তিস্তা পাড়ের জনসাধারন অংশগ্রহন করেন বলে জানান, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও কমিটির আয়োজক।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালীগঞ্জ জিরো পয়েন্ট থেকে মানববন্ধনটি শুরু হয়ে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিঘাট পর্যন্ত ১১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজের উজানে ২০ কিলোমিটার ও ভাটিতে আনুমানিক ৯৫ কিলোমিটার প্রবাহিত। বাংলাদেশের ১১৫ কিলোমিটার অংশে প্রতি বছর বন্যা আর ভাঙ্গনে লাখ লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বন্যা আর ভাঙ্গনের হাত থেকে মুক্তি চায় তিস্তা নদীর দুই তীরবর্তী মানুষ।
তিস্তা নদীর সুরক্ষা, দুই তীরের বন্যা ও ভাঙ্গন রোধ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর ক্ষতিপুরনের দাবীতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সেই সঙ্গে মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা নদী নিয়ে যে মহাপরিকল্পনা গ্রহন করেছেন তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী জানানো হয় । তিস্তার পাড়ের সামচুল হক বলেন, সরকার তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা দ্রæত বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মানববন্ধনে থেকে দাবী জানানো হয়।
রংপুর বিভাগের তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও আন্দোলনের রংপুর বিভাগীয় সম্পাদক সফিয়ার রহমান বলেন, সরকারের তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার লক্ষে উত্তরাঞ্চলের ৫ জেলার তিস্তার পাড়ের জনগনকে একত্রিত করতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। তিস্তার পাড়ের জনগন যে যেখানে আছে বাড়ীর পাশে এসে মানববন্ধনে অংশগ্রহন করবেন।
তিনি আরও বলেন তিস্তা নদী রংপুর বিভাগের ৫টি জেলা উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন, উন্নয়ন কর্মী ও সুধিজন উক্ত মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন।