ঢাকা ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাভারে দুই বান্ধবীকে গণধর্ষনের ঘটনায় , ৩ কিশোর আটক

আটক জাকির, আলামিন ও পান জাকির

স্টাফ রিপোর্টার: সাভারের আশুলিয়ায় দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিও মাস খানেক পর প্রকাশ হওয়ায় প্রিন্স কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (৭ অক্টোবর) ভোর রাতে আশুলিয়ার ভাদাইল ও নয়ারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

এর আগে গত ৩০ আগস্ট একই বাসার ভাড়াটিয়া দুই কিশোরের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ওই গ্যাংয়ের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলো দুই বান্ধবী।

আটক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হলো- ডায়মন আলামিন (১৪), জাকির (১৩) ও পান রাকিব (১৬)। পান রাকিব ভাদাইল এলাকায় মাঝে মধ্যে শাক বিক্রি করে বলে জানা গেছে।

বাকি দুই জন শিক্ষার্থী। তারা সবাই প্রিন্স কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যরা হলো- দলনেতা সারুফ, তার সহযোগী আলমিন, জিদান, রেদওয়ানসহ আরও কয়েকজন।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া ইসরাফিল নামে এক কিশোর জানায়, আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় ভাড়া থেকে চুল কারখানায় কাজ করতো ভুক্তভোগী দুই বান্ধবী।

প্রায় ৩৫ দিন আগে একই বাসার ভাড়াটিয়া দুই কিশোরের সঙ্গে তারা ভাদাইলের গুলিয়ারচক এলাকায় বেড়াতে যায়। এসময় তাদের চারপাশ দিয়ে ঘিরে ফেলে প্রিন্স কিশোর গ্যাংয়ের ১২ থেকে ১৪ জন সদস্য।

ভুক্তভোগীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া দুই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং মারধর করে এক জায়গায় বসিয়ে রাখে।

পরে ভুক্তভোগীদের একটু আড়ালে নিয়ে ১২ জন কিশোর পালাক্রমে ধর্ষণ এবং তা ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও ফাঁস হলে ভুক্তভোগী দুই বান্ধবী গ্রামে চলে যেতে বাধ্য হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার প্রায় এক মাস পর কিশোর গ্যাংয়ের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ধারণ করা ভিডিও ফাঁস হয়ে যায়। পরে ধারণকৃত ভিডিওর মাধ্যমে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তিন ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসওয়াদুর রহমান  বলেন, ভিডিও ফাঁস হওয়ার পরপরই কোনো অভিযোগ না পেলেও তদন্তে নামে আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে ওই গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস

সাভারে দুই বান্ধবীকে গণধর্ষনের ঘটনায় , ৩ কিশোর আটক

আপডেট সময় ০১:০৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার: সাভারের আশুলিয়ায় দুই বান্ধবীকে গণধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিও মাস খানেক পর প্রকাশ হওয়ায় প্রিন্স কিশোর গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (৭ অক্টোবর) ভোর রাতে আশুলিয়ার ভাদাইল ও নয়ারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

এর আগে গত ৩০ আগস্ট একই বাসার ভাড়াটিয়া দুই কিশোরের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ওই গ্যাংয়ের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলো দুই বান্ধবী।

আটক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হলো- ডায়মন আলামিন (১৪), জাকির (১৩) ও পান রাকিব (১৬)। পান রাকিব ভাদাইল এলাকায় মাঝে মধ্যে শাক বিক্রি করে বলে জানা গেছে।

বাকি দুই জন শিক্ষার্থী। তারা সবাই প্রিন্স কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যরা হলো- দলনেতা সারুফ, তার সহযোগী আলমিন, জিদান, রেদওয়ানসহ আরও কয়েকজন।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া ইসরাফিল নামে এক কিশোর জানায়, আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় ভাড়া থেকে চুল কারখানায় কাজ করতো ভুক্তভোগী দুই বান্ধবী।

প্রায় ৩৫ দিন আগে একই বাসার ভাড়াটিয়া দুই কিশোরের সঙ্গে তারা ভাদাইলের গুলিয়ারচক এলাকায় বেড়াতে যায়। এসময় তাদের চারপাশ দিয়ে ঘিরে ফেলে প্রিন্স কিশোর গ্যাংয়ের ১২ থেকে ১৪ জন সদস্য।

ভুক্তভোগীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া দুই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং মারধর করে এক জায়গায় বসিয়ে রাখে।

পরে ভুক্তভোগীদের একটু আড়ালে নিয়ে ১২ জন কিশোর পালাক্রমে ধর্ষণ এবং তা ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও ফাঁস হলে ভুক্তভোগী দুই বান্ধবী গ্রামে চলে যেতে বাধ্য হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার প্রায় এক মাস পর কিশোর গ্যাংয়ের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ধারণ করা ভিডিও ফাঁস হয়ে যায়। পরে ধারণকৃত ভিডিওর মাধ্যমে শনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে তিন ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসওয়াদুর রহমান  বলেন, ভিডিও ফাঁস হওয়ার পরপরই কোনো অভিযোগ না পেলেও তদন্তে নামে আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে ওই গ্যাংয়ের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।