রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে আউয়াল আলী (১৬) নামে এক কলেজ ছাত্রকে বেধরক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
নির্যাতনের ঘটনাটি ধামা-চাপা দিতে বৈঠকে চিকিৎসা বাবদ আট হাজার টাকায় ধামা-চাপা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার একডালা গ্রামে। এ ঘটনাটি নিয়ে ওই এলাকায় চলছে নানান সমালোচনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একডালা দক্ষিণপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে আউয়াল আলীসহ কয়েকজন বন্ধু মিলে ওই গ্রামে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে পিকনিক করে। ওই সময় একই গ্রামের ফাইম নামে এক বন্ধুর একটি এ্যাড্রয়েট মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ফাইমের পরিবারের লোকজন ও গ্রামের কতিপয় মাতাব্বরা একজন গনকের স্বরনাপন্ন হলে মোবাইল ফোনটি আউয়াল চুরি করেছে বলে জানায়।
এ ঘটনার সূত্র ধরে মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক একই গ্রামের লুৎফর রহমান ও তার একজন সহযোগি গত বুধবার বিকেলে কৌশলে আউয়ালকে ডেকে নেয়। এ সময় সাখাওয়াত হোসেন বাবুলের বাড়িতে ঘরে তুলে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে লাঠি ও পাইপ দিয়ে বেধরক নির্যাতন করে। এতে আউয়াল অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাকে চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। পরে ঘটনাটি ধামা-চাপা দিতে শুক্রবার রাতে বৈঠক করে চিকিৎসা বাবদ খরচে সমাধান করা হয়।
এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার কলেজ ছাত্র আউয়ালের বাবা আলাউদ্দিন বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। ছেলেকে নির্যাতনের কথা শুনে শুক্রবার বাড়িতে এসেছি। রাতে বৈঠক বসে চিকিৎসা বাবদ আট হাজার টাকা খরচ দিয়ে মিমাংসা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ছেলেকে চিকিৎসা দিতে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন বলে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত মাতাব্বর সাখাওয়াত হোসেন বাবুল বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার বাড়িতেই বসে চিকিৎসা বাবদ কিছু খরচ দিয়ে সমাধান করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, মোবাইল চুরি করেছে এমন সন্দেহে আউয়ালকে চর-থাপ্পর দিয়েছি। তবে চিকিৎসা বাবদ কিছু খরচ দিয়ে শুক্রবার সমাধান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনের মালিক ফাইম এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
রাণীনগর থানার ওসি মো: জহুরুল হক বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ আসেনি বা আমাদেরকে কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।