আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বন্ধুত্বের টানে আচমকা মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
সোমবার (২৪ আগস্ট) নিজের মধ্যপ্রাচ্য সফরের শুরুতে তিনি প্রথমে ইসরায়েল যাবেন, এরপর আমিরাত যাওয়ার কথা রয়েছে তার। ইসরায়েল-আমিরাত সমঝোতা চুক্তির-
পর এটাই ট্রাম্প প্রশাসনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধির প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফর। বিশেষ এ সফরে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ও এশিয়ার পরাশক্তি চীন ইস্যুতে আলোচনা গুরুত্ব পাবে। খবর জেরুজালেম পোস্টের।
গত ১৩ আগস্ট ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য একটি চুক্তি সই করে। এর পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরটিতে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনা সূচিতে যে বিষয়টি-
বিশেষভাবে যুক্ত হচ্ছে, সেটি হচ্ছে– ইরান ও চীনের পক্ষ থেকে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে যে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে সেগুলোকে মোকাবিলা করা। এর আগে গত ১৯ আগস্ট ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ইয়োসি কোহেন সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন।
তেল আবিবের পক্ষ থেকে বলা হয়– গুরুত্বপূর্ণ সেই সফরে কোহেন আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আলোচনা করেন।
পম্পেওর সফর পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত একজন মার্কিন পদস্থ কর্মকর্তার বরাতে জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিনের বন্ধ্যত্ব-
ঘুচিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ হিসেবে আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করায় দুদেশের নেতৃত্বকে আনুষ্ঠানিক ধন্যবাদ দিতেই পম্পেও এ সফরে যাচ্ছেন।