নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দায় অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং করোনার অজুহাতে কাঁচা মরিচের বাজারগুলোতে মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু দাম বৃদ্ধিই না, মনে হচ্ছে যেন কাঁচা মরিচের বাজারে আগুন লেগে গেছে।
গত কয়েক সপ্তাহে কেজি প্রতি মরিচে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, তিন থেকে পাঁচগুণ বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম।
মান্দা সদর উপজেলার সতীহাটে কাঁচা মরিচের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। যা আগে ছিল ২০-৩০ টাকা কেজি।
সতীহাটের মরিচ বিক্রেতা ভুট্টু আলী জানান, ‘মান্দার সতীহাট মরিচ আমদানি নির্ভর এলাকা। এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে মরিচ আসে। এবার মরিচের উৎপাদন কম হওয়ায় মরিচের দাম বাড়তির দিকে।’
অপর ব্যবসায়ী ইব্রাহীম ওরফে বাবু বলেন, ‘এবার ঘন বর্ষার কারণে কাঁচা মরিচের গাছগুলো নষ্ট হয়ে গেছে । তাই দাম মরিচের দাম বেশি।
নতুন মরিচ না আসা পর্যন্ত দাম আরও বাড়তে পারে।’ বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা সাজু নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম কেন বাড়লো বুঝতে পারলাম না।
আড়তদাররা অধিক মুনাফার জন্য বাড়িয়েছে, নাকি মোকামে মরিচ সংকট সেটা বুঝতে পারছি না।
কিছুদিন আগেও যে মরিচ প্রতি কেজি কিনতাম সর্বোচ্চ ২০-৩০ টাকা করে ,অথচ; সেই মরিচ এখন কিনতে হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা দরে।’
সতীহাটের কাঁচা মরিচের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী বেলাল হোসেন জানান, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কাঁচা মরিচের দাম দ্বিগুণ-তিনগুণ হয়েছে। এ কারণে মরিচ ১০০ টাকার নিচে বিক্রি করা যাচ্ছে না।
যা আগে প্রতি কেজি মরিচ আমরা ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। মরিচের দাম বাড়ায় মরিচ পাইকারি ও খুচরা বিক্রি অনেক কমে গেছে। ফলে ব্যবসায়িকভাবে আমাদের ক্ষতির সন্মুখীন হতে হচ্ছে।’