গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ বিদ্যুৎ বিভাগের ভুতুরে বিল বাতিল ও বিদ্যুৎ ট্রাসফোর্সে ম্যাজিষ্ট্রেট ও গ্রাহক প্রতিনিধির নিয়োগের দাবিতে গতকাল রোববার জেলা শহরের ডিবি রোডে এক মানবন্ধনেরকর্মসূচী পালিত হয়।
বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সেচ পাম্প মালিক সমিতি গাইবান্ধা জেলা শাখা এই মানববন্ধনের কর্মসূচী পালন করে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরো সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, বাসদ জেলা সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী,-
ওয়ার্কার্স পার্টি জেলা সম্পাদক মিলন কান্তি, বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের নেতা মাসুদুর রহমান মাসুদ, বিদ্যুৎ গ্রাহক ও-
সেচ পাম্প মালিক সমিতি জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আসাদুজ্জামান শাহীন, সাধারণ সম্পাদক আনাউর রহমান, জেলা নেতা দেবল কুমার,-
সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুর রহমান সুমন, আব্দুল হালিম, আবুল কালাম আজাদ, আহমাদুর রহিম, মোহাম্মদ আলী, সাইফুল ইসলাম, ঋষি বর্মন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন কোম্পানী বিতরণ বিভাগগুলো বসতবাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভুতুরে বিল করছে, করোনায় এমন মহাদুর্যোগের সময়ে এই অতিরিক্ত বিল গ্রাহকদের চরম বিপাকে ফেলেছে।
গাইবান্ধায় নেসকো সেচ পাম্পগুলোর কাছে দাখিলকৃত ৪ গুণ অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল বাতিলের দাবি জানাান। তদুপরি একসাথে ৪/৫ মাসের গড়বিল করা
যাবে না, সেচ পাম্পের অতিরিক্ত বিল সংকট এবং পূর্বে অতিরিক্ত বিল সংশোধন জটিলতা- ট্রান্সফোর্সের মাধ্যমে নিরসনেরও দাবি জানান তারা।
বক্তারা উলেখ করেন, মিটার ছাড়া কোন সেচ পাম্প সংযোগের পরিবর্তে বিদ্যুৎ পোলের ষ্ট্যান্ডে মিটারসহ সমস্ত বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান এবং অতিরিক্ত বিল গ্রাহক হয়রানী বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।
বক্তারা সেইসাথে গাইবান্ধায় ডেটল সরবরাহকারি ডিলাররা সমস্ত ডেটল কালোবাজারে বিক্রি করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে-
এই করোনাকালিন সময়ে জীবানুনাশক ওষুধের সংকট তৈরী করে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। দ্রুত তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।