আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যে চীন কেন লাদাখে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে তা নিয়ে নানা মুনি না মত প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম জি নিউজ একটি বিশ্লেষণমূলক সংবাদ প্রকাশ করেছে।
সেখানে বলা হয়, ভারতের পশ্চিম দিক দেখে শ্রীলঙ্কার নীচ দিয়ে, আন্দামান নিকোবর পেরিয়ে মালয়েশিয়া আর ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগর হয়ে উত্তর পূর্ব দিকে সাংহাই।
এই হচ্ছে আরব থেকে চীনে পেট্রো পরিবহনের মূল পথ। চীনের ৮০% পেট্রো আমদানি এই রাস্তা ধরেই। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সরু প্রণালীটিই মাল্লাকা।
মালাক্কা প্রণালী নিয়েই চীনের ঘুম উড়ে গেছে। কারণ মালাক্কা প্রণালীর ঠিক মুখে সিঙ্গাপুরে মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতি।
তার ওপর আন্দামানে ভারতীয় নৌবাহিনীর উপস্থিতিও চীনের পেট্রোপথে কাঁটা। বাধা কাটাতে বিকল্প পেট্রোরুটের পথ খুঁজছে চীন।
এক্ষেত্রে কোনো বিকল্পই বেজিংয়ের মূল পেট্রোরুটের বিকল্প হতে পারেনি। তাই পেট্রোরুটের সব দেশকে দলে টানার চেষ্টা করেছে বেইজিং।
যে দেশকে ঘুষ দেওয়া সম্ভব, তাকে ঘুষ দেয়, যাকে হুমকি দেওয়া সম্ভব তাকে হুমকি দেয়। চীনের পেট্রোরুটে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জও পড়ে। ভারতকে হুমকি বা ঘুষ, কোনোটাই দেওয়া সম্ভব নয়। তাই লাদাখে আক্রমণ।
দক্ষিণ চীন সাগরে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গেও চীনের সম্পর্ক ভাল নয়। নিজের পেট্রোরুট নিরাপদ করতে অগুনতি নকল দ্বীপ, নৌঘাঁটি তৈরি করেছে চীন।
তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে জাপান, ভিয়েতনামসহ অধিকাংশ দেশ। মার্কিন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে চীন। পরমাণু এবং ডিজেল শক্তিচালিত প্রায় ৭০টি ডুবোজাহাজ ভাসিয়েছে চীন।
মার্কিন নৌবহরের জন্যই তৈরি করা হয়েছে পরমাণু অস্ত্রবহণে সক্ষম ডুবোজাহাজ। পেট্রোরুটের একাধিক বন্দরে নৌঘাঁটি তৈরি করে কাঁটা সরানোর চেষ্টায় আছে চীন।