ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার আন্দামানের নিরাপত্তা নিয়েও ভাবাচ্ছে ভারতকে

আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় চীনা বাহিনীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এবার আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নিরাপত্তা নিয়েও নড়েচড়ে বসেছে ভারত।

ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে আন্দামান-নিকোবরের কাছ দিয়ে জ্বালানি তেল আমদানি করে চীন। সেই বিষয়টি মাথা রেখেই এখন আন্দামান-নিকোবর কমান্ডের গুরুত্ব বাড়ানো হচ্ছে।

ইতিমধ্যে ওই দ্বীপপুঞ্জে ভারত অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে এই সময়।

ভারতীয় এ সংবাদমাধ্যম জানায়, চীনের ‘সম্প্রসারণবাদ কৌশল’ মোকাবেলায় ভারত মহাসাগরের ওপর আন্দামান-নিকোবরের অবস্থান দিল্লির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তাই আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আন্দামান-নিকোবরের প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সেনা সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, আন্দামান-নিকোবরে সেনার পরিকাঠামো ও সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি বহুদিন ধরেই আটকে ছিল।

কিন্তু লাদাখে চীনের আক্রমণাত্মক ও বিস্তারবাদ মনোবৃত্তির জন্য এবার ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়েও সতর্ক ভারত।

জানা গেছে, ২০০১ সালে প্রথম আন্দামান-নিকোবর কমান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি দেশটির প্রথম ও একমাত্র থিয়েটার কমান্ড, যেখানে সেনা, বিমান এবং নৌসেনা একটিই অপারেশনাল কমান্ডারের অধীনে রয়েছে।

ভারত মহাসাগরের ওপর অবস্থানগত বিচারে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখানকার কমান্ডের প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এতদিন যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়নি বলে সেনা সূত্র জানিয়েছে।

ফলে দীর্ঘদিন ধরে আন্দামান-নিকোবর কমান্ড অবহেলার শিকার হচ্ছিল। এছাড়া যথেষ্ট পরিমাণে বরাদ্দ সেখানকার কমান্ডের জন্য নির্দিষ্ট করা হতো না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এই সময় আরও জানায়, উত্তর আন্দামানের শিবপুরে নৌসেনার এয়ার স্টেশন আইএনএস কোহাসারের রানওয়ের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

ক্যাম্পবেলে আইএনএস বাজের রানওয়ের দৈর্ঘ্য বাড়ানোরও কথা চলছে। প্রয়োজনে বড় যুদ্ধবিমান যাতে এখান থেকে কাজ করতে পারে, তার জন্য বাড়ানো হচ্ছে রানওয়ের দৈর্ঘ্য।

আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সেনা কর্মকাণ্ড বাড়ানোর জন্য যে রোল-অন প্ল্যান নেয়া হয়েছে, তাতে ১০ বছরের জন্য প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে।

আরও যুদ্ধবিমান, নৌজাহাজ ও সেনা সেখানে মোতায়েন করা হবে। এই কাজে ৫৬৫০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়।

২০২৭ সালের মধ্যে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সেনা পরিকাঠামো বৃদ্ধির কাজ সম্পূর্ণ করা হবে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যটি।

 

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

এবার আন্দামানের নিরাপত্তা নিয়েও ভাবাচ্ছে ভারতকে

আপডেট সময় ০১:০৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় চীনা বাহিনীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এবার আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নিরাপত্তা নিয়েও নড়েচড়ে বসেছে ভারত।

ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে আন্দামান-নিকোবরের কাছ দিয়ে জ্বালানি তেল আমদানি করে চীন। সেই বিষয়টি মাথা রেখেই এখন আন্দামান-নিকোবর কমান্ডের গুরুত্ব বাড়ানো হচ্ছে।

ইতিমধ্যে ওই দ্বীপপুঞ্জে ভারত অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে এই সময়।

ভারতীয় এ সংবাদমাধ্যম জানায়, চীনের ‘সম্প্রসারণবাদ কৌশল’ মোকাবেলায় ভারত মহাসাগরের ওপর আন্দামান-নিকোবরের অবস্থান দিল্লির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তাই আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আন্দামান-নিকোবরের প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সেনা সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, আন্দামান-নিকোবরে সেনার পরিকাঠামো ও সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি বহুদিন ধরেই আটকে ছিল।

কিন্তু লাদাখে চীনের আক্রমণাত্মক ও বিস্তারবাদ মনোবৃত্তির জন্য এবার ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়েও সতর্ক ভারত।

জানা গেছে, ২০০১ সালে প্রথম আন্দামান-নিকোবর কমান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি দেশটির প্রথম ও একমাত্র থিয়েটার কমান্ড, যেখানে সেনা, বিমান এবং নৌসেনা একটিই অপারেশনাল কমান্ডারের অধীনে রয়েছে।

ভারত মহাসাগরের ওপর অবস্থানগত বিচারে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখানকার কমান্ডের প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এতদিন যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়নি বলে সেনা সূত্র জানিয়েছে।

ফলে দীর্ঘদিন ধরে আন্দামান-নিকোবর কমান্ড অবহেলার শিকার হচ্ছিল। এছাড়া যথেষ্ট পরিমাণে বরাদ্দ সেখানকার কমান্ডের জন্য নির্দিষ্ট করা হতো না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এই সময় আরও জানায়, উত্তর আন্দামানের শিবপুরে নৌসেনার এয়ার স্টেশন আইএনএস কোহাসারের রানওয়ের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

ক্যাম্পবেলে আইএনএস বাজের রানওয়ের দৈর্ঘ্য বাড়ানোরও কথা চলছে। প্রয়োজনে বড় যুদ্ধবিমান যাতে এখান থেকে কাজ করতে পারে, তার জন্য বাড়ানো হচ্ছে রানওয়ের দৈর্ঘ্য।

আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সেনা কর্মকাণ্ড বাড়ানোর জন্য যে রোল-অন প্ল্যান নেয়া হয়েছে, তাতে ১০ বছরের জন্য প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে।

আরও যুদ্ধবিমান, নৌজাহাজ ও সেনা সেখানে মোতায়েন করা হবে। এই কাজে ৫৬৫০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়।

২০২৭ সালের মধ্যে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সেনা পরিকাঠামো বৃদ্ধির কাজ সম্পূর্ণ করা হবে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যটি।