ঢাকা ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিল্লির সড়কে ঝাঁকে ঝাঁকে চীনা সিসিটিভি, নজরদারি চালাচ্ছে বেইজিং!

দিল্লির সড়কে চীনা সিসিটিভি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  সীমান্তে ভারত-চীন উত্তেজনা বাড়ছেই। দুই দেশই লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন করেছে বিপুল সংখ্যক সেনা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ভারতজুড়ে চীনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন দেশটির জাতীয়তাবাদী জনগণ।

ভারতের নিষিদ্ধ হয়েছে ৫৯টি চীনা অ্যাপও। তবে দিল্লির রাস্তায় প্রায় দেড় লাখ চীনা সিসিটিভি ইনস্টল করা হয়েছে। এনিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এমনকি দিল্লির বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগও ওঠছে।

দিল্লির বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন রাস্তায় সিসিটিভি বসিয়েছে আম আদামি পার্টি বা আপ সরকার। যা কেনা হয়েছে চীনা সংস্থা হিকভিশনের কাছ থেকে।

তারাই এই সিসিটিভি তৈরি করার পাশাপাশি ইনস্টল করার দায়িত্বেও ছিল।

এই সিসিটিভির ফুটেজ দেখার জন্য প্রত্যেক দিল্লিবাসীকে ফোনে ওই সংস্থার একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয়। আর বিপদের ভয়টা এখানেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা জানাচ্ছেন, শুধু সংস্থার কর্মকর্তারা নন, এই অ্যাপে নজরদারি চালাতে পারেন চীনা প্রশাসন থেকে চীনা সেনাবাহিনীও।

কারণ এর মূল সার্ভার রয়েছে চীনে। ফলে দিল্লির কোন রাস্তায় কখন কী হচ্ছে, তা একেবারে তাদের নখদর্পণে থাকছে। যা প্রশাসনের চিন্তা বাড়াচ্ছে।

এর আগেও এই সংস্থার নামে নজরদারির অভিযোগ আনা হয়েছিল।

দিনকয়েক আগে আমেরিকায় হিকভিশনের থেকে কোনো সরকারি প্রকল্পের পণ্য কেনা হবে না বলে জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ এই সংস্থায় চীনা সেনা নজরদারি চালায়।

এই বিষয়টি নিয়ে দিল্লি সরকারের সমালোচনা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

বর্ষীয়ান নেতা শাহেনওয়াজ হুসেন বলেন, সিসিটিভিগুলোর মূল সার্ভার রয়েছে চীনে। ফলে দিল্লির রাস্তায় কখন কী হচ্ছে, তা পুরোটাই চীনে বসে দেখা সম্ভব হচ্ছে। যা চিন্তার বিষয়।

ক্যামেরাগুলো সরিয়ে ফেলার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। তবে দিল্লির সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাবি, এটা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্র সরকারের পিএসইউ সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

 

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

দিল্লির সড়কে ঝাঁকে ঝাঁকে চীনা সিসিটিভি, নজরদারি চালাচ্ছে বেইজিং!

আপডেট সময় ০৭:৩৪:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  সীমান্তে ভারত-চীন উত্তেজনা বাড়ছেই। দুই দেশই লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন করেছে বিপুল সংখ্যক সেনা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ভারতজুড়ে চীনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন দেশটির জাতীয়তাবাদী জনগণ।

ভারতের নিষিদ্ধ হয়েছে ৫৯টি চীনা অ্যাপও। তবে দিল্লির রাস্তায় প্রায় দেড় লাখ চীনা সিসিটিভি ইনস্টল করা হয়েছে। এনিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এমনকি দিল্লির বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগও ওঠছে।

দিল্লির বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন রাস্তায় সিসিটিভি বসিয়েছে আম আদামি পার্টি বা আপ সরকার। যা কেনা হয়েছে চীনা সংস্থা হিকভিশনের কাছ থেকে।

তারাই এই সিসিটিভি তৈরি করার পাশাপাশি ইনস্টল করার দায়িত্বেও ছিল।

এই সিসিটিভির ফুটেজ দেখার জন্য প্রত্যেক দিল্লিবাসীকে ফোনে ওই সংস্থার একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয়। আর বিপদের ভয়টা এখানেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা জানাচ্ছেন, শুধু সংস্থার কর্মকর্তারা নন, এই অ্যাপে নজরদারি চালাতে পারেন চীনা প্রশাসন থেকে চীনা সেনাবাহিনীও।

কারণ এর মূল সার্ভার রয়েছে চীনে। ফলে দিল্লির কোন রাস্তায় কখন কী হচ্ছে, তা একেবারে তাদের নখদর্পণে থাকছে। যা প্রশাসনের চিন্তা বাড়াচ্ছে।

এর আগেও এই সংস্থার নামে নজরদারির অভিযোগ আনা হয়েছিল।

দিনকয়েক আগে আমেরিকায় হিকভিশনের থেকে কোনো সরকারি প্রকল্পের পণ্য কেনা হবে না বলে জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ এই সংস্থায় চীনা সেনা নজরদারি চালায়।

এই বিষয়টি নিয়ে দিল্লি সরকারের সমালোচনা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

বর্ষীয়ান নেতা শাহেনওয়াজ হুসেন বলেন, সিসিটিভিগুলোর মূল সার্ভার রয়েছে চীনে। ফলে দিল্লির রাস্তায় কখন কী হচ্ছে, তা পুরোটাই চীনে বসে দেখা সম্ভব হচ্ছে। যা চিন্তার বিষয়।

ক্যামেরাগুলো সরিয়ে ফেলার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। তবে দিল্লির সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাবি, এটা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্র সরকারের পিএসইউ সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন