ঢাকা ১০:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফের হামলা হবে মুম্বাইয়ে! গভীর রাতে পাকিস্তান থেকে হুমকি

মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলার শিকার হোটেল তাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  ২০০৮ সালের ক্ষত না শুকাতেই নতুন করে হামলার ছক কষছে পাকিস্তান। গোপন সূত্রে পাওয়া খবর জানা গিয়েছে, ফের হামলা হতে পারে ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বাইয়ে।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) গভীর রাতে এক ফোনকলে নিজেকে লস্কর এ তইবার জঙ্গি বলে পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি দুটি বিলাসবহুল হোটেল বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

পাকিস্তানের নিশানায় রয়েছে কোলাবার তাজ মহল প্যালেস হোটেল, বান্দ্রার তাজ ল্যান্ডস এন্ড। তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, ফোনটি এসেছিল পাকিস্তান থেকেই।

প্রথম ফোনটি আসে রাত ১২ টা৩০ মিনিটে। তাজ মহল প্যালেস হোটেলের কর্মী সেই ফোন ধরেন। এই হোটেলে ফের হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ সময় ২০০৮ সালের ভয়াবহ হামলার কথা উল্লেখ করে সে।

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাই হামলায় মৃত্যু হয় ১৬৬ জনের৷ হামলায় জড়িত সন্দেহে লস্কর-ই-তইবা কমান্ডার জাকিউর রহমান লাকভিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পাক পুলিশ।

তবে এখনো মামলার কোনো সমাধান হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছিল ছত্রপতি শিবাজি টারমিনাস রেলওয়ে স্টেশনে, কামা হাসপাতাল, নারিম্যান হাউজ বিসনেজ এন্ড রেসিডেনশিয়্যাল কমপ্লেক্স, লিওপোল্ড ক্যাফে, তাজ হোটেল এবং ওবেরয় ত্রিডেন্ট হোটেলে।

ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একধিকবার পাকিস্তানকে সন্ত্রাসে লিপ্ত দলগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বললেও কোনো কাজ হয়নি।

২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের তাজ হোটেল থেকে শুরু করে নারিমান পয়েন্ট, একের পর এক জায়গা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল পাকিস্তানি জঙ্গিরা।

জলপথে মুম্বইয়ের বুকে ঢুকে এমন নৃশংস হামলার নেপথ্যে ছিল পাকিস্তানি জঙ্গিনেতা হাফিজ সাইদ। যাকে পরবর্তীকালে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদীর তকমা দেওয়া হয়।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

ফের হামলা হবে মুম্বাইয়ে! গভীর রাতে পাকিস্তান থেকে হুমকি

আপডেট সময় ০৫:১৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  ২০০৮ সালের ক্ষত না শুকাতেই নতুন করে হামলার ছক কষছে পাকিস্তান। গোপন সূত্রে পাওয়া খবর জানা গিয়েছে, ফের হামলা হতে পারে ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বাইয়ে।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) গভীর রাতে এক ফোনকলে নিজেকে লস্কর এ তইবার জঙ্গি বলে পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি দুটি বিলাসবহুল হোটেল বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

পাকিস্তানের নিশানায় রয়েছে কোলাবার তাজ মহল প্যালেস হোটেল, বান্দ্রার তাজ ল্যান্ডস এন্ড। তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, ফোনটি এসেছিল পাকিস্তান থেকেই।

প্রথম ফোনটি আসে রাত ১২ টা৩০ মিনিটে। তাজ মহল প্যালেস হোটেলের কর্মী সেই ফোন ধরেন। এই হোটেলে ফের হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ সময় ২০০৮ সালের ভয়াবহ হামলার কথা উল্লেখ করে সে।

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাই হামলায় মৃত্যু হয় ১৬৬ জনের৷ হামলায় জড়িত সন্দেহে লস্কর-ই-তইবা কমান্ডার জাকিউর রহমান লাকভিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পাক পুলিশ।

তবে এখনো মামলার কোনো সমাধান হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছিল ছত্রপতি শিবাজি টারমিনাস রেলওয়ে স্টেশনে, কামা হাসপাতাল, নারিম্যান হাউজ বিসনেজ এন্ড রেসিডেনশিয়্যাল কমপ্লেক্স, লিওপোল্ড ক্যাফে, তাজ হোটেল এবং ওবেরয় ত্রিডেন্ট হোটেলে।

ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একধিকবার পাকিস্তানকে সন্ত্রাসে লিপ্ত দলগুলির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বললেও কোনো কাজ হয়নি।

২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের তাজ হোটেল থেকে শুরু করে নারিমান পয়েন্ট, একের পর এক জায়গা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল পাকিস্তানি জঙ্গিরা।

জলপথে মুম্বইয়ের বুকে ঢুকে এমন নৃশংস হামলার নেপথ্যে ছিল পাকিস্তানি জঙ্গিনেতা হাফিজ সাইদ। যাকে পরবর্তীকালে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদীর তকমা দেওয়া হয়।