ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিয়ে না, সম্পর্ক ও রোমান্স করতে চান নায়িকা Logo পোড়া অফিস দেখে বিমর্ষ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Logo দেশে ফিরেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী Logo চোখের জলে নয়নকে বিদায় জানালো ফায়ার সার্ভিস Logo ইসরায়েলে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পাঠাচ্ছে জার্মানি Logo সচিবালয়ে আগুন নাশকতা কি না তদন্তের পর জানা যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সরকারকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে কেউ জড়িত থাকলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা আসিফ Logo কুষ্টিয়া ভাড়া বাসা থেকে নারী পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo কিশোরগঞ্জে খেজুরের রস পান করে ‘জয় বাংল’ স্লোগান, কারাগারে ১৫ যুবক Logo সচিবালয়ে আগুন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আট ও নয় তলা

লাদেনকে ‘শহিদ’ বলে পাকিস্তানেই তোপের মুখে ইমরান

লাদেনকে 'শহিদ' বলে পাকিস্তানেই তোপের মুখে ইমরান

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  আল কায়দার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ‘শহিদ’ আখ্যা দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। লাদেনকে নিয়ে উত্তাল পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি।

শক্ত হাতে সন্ত্রাস দমন না করে, এভাবে একজন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীকে শহিদ বলে উল্লেখ করায় ইমরানের তীব্র সমালোচনা-

করেছেন বিরোধী শিবিরের রাজনীতিকরা। শুধু রাজনৈতিক নেতারা নয়, সাধারণ মানুষও ইমরানের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন।

বৃহস্পতিবার দেশের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে ইমরান বলেন, ‘মার্কিন সেনাবাহিনী যখন অ্যাবোটাবাদে ঢুকে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে, তাকে শহিদ করে, তখন বিশ্বের সর্বত্র পাকিস্তানিরা খুবই বিব্রত বোধ করেছিলেন।’

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়েই সেইসময় ইমরানের তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা তথা দেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ।

তিনি বলেন, ‘ওসামা বিন লাদেন এক জন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ছিলেন। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিলেন তিনি। আমাদের দেশটাকে পুরো ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। আজ তাকেই কিনা শহিদ বলছেন প্রধানমন্ত্রী।’

পাকিস্তান পিপলস পার্টির সিনেটর শেরি রহমান ইমরানের উদ্দেশে বলেন বলেন, ‘ওসামার জন্যই আজো সন্ত্রাসের শিকার পাকিস্তান।

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে তাকেই কিনা শহিদ বলে বসলেন আপনি? ওসামা বিন লাদেন প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ হতে পারেন, কিন্তু দেশের মানুষের নন। তিনি গোটা রাষ্ট্রের শত্রু ছিলেন এবং থাকবেন।’

২০১১ সালের ২ মে আমেরিকান সেনার হাতে লাদেনের হত্যার আগে পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড ট্রেন্ড সেন্টার ধ্বংসের মাস্টারমাইন্ড লাদেন পাকিস্তানে আছেন, একথা স্বীকার করেনি দেশটি।

কিন্তু লাদেনকে সেদেশে পাওয়ার পরে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয় পাকিস্তানের।

১০ বছর ধরে খোঁজ করার পরে লাদেনের খোঁজ পেয়েছিল মার্কিন সেনা। আবোটাবাদে পাকিস্তানের এক মিলিটারি অ্যাকাডেমির কাছেই প্রাসাদোপম বাড়িতে থাকতেন লাদেন।  সেখানে তার পরিবারের অন্যান্যরাও ছিলেন।

কিন্তু রাতের অন্ধকারে মার্কিন সেনা আচমকা হানা দেয় সেখানে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই হত্যা করা হয় লাদেনকে। তারপর লাদেনের কফিন বন্দি মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয় সমুদ্রের গভীরে। সূত্র- দ্য ওয়াল।

 

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

বিয়ে না, সম্পর্ক ও রোমান্স করতে চান নায়িকা

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

লাদেনকে ‘শহিদ’ বলে পাকিস্তানেই তোপের মুখে ইমরান

আপডেট সময় ০৯:০৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  আল কায়দার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ‘শহিদ’ আখ্যা দিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। লাদেনকে নিয়ে উত্তাল পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি।

শক্ত হাতে সন্ত্রাস দমন না করে, এভাবে একজন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীকে শহিদ বলে উল্লেখ করায় ইমরানের তীব্র সমালোচনা-

করেছেন বিরোধী শিবিরের রাজনীতিকরা। শুধু রাজনৈতিক নেতারা নয়, সাধারণ মানুষও ইমরানের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন।

বৃহস্পতিবার দেশের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে ইমরান বলেন, ‘মার্কিন সেনাবাহিনী যখন অ্যাবোটাবাদে ঢুকে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে, তাকে শহিদ করে, তখন বিশ্বের সর্বত্র পাকিস্তানিরা খুবই বিব্রত বোধ করেছিলেন।’

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়েই সেইসময় ইমরানের তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা তথা দেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ।

তিনি বলেন, ‘ওসামা বিন লাদেন এক জন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ছিলেন। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিলেন তিনি। আমাদের দেশটাকে পুরো ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। আজ তাকেই কিনা শহিদ বলছেন প্রধানমন্ত্রী।’

পাকিস্তান পিপলস পার্টির সিনেটর শেরি রহমান ইমরানের উদ্দেশে বলেন বলেন, ‘ওসামার জন্যই আজো সন্ত্রাসের শিকার পাকিস্তান।

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে তাকেই কিনা শহিদ বলে বসলেন আপনি? ওসামা বিন লাদেন প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ হতে পারেন, কিন্তু দেশের মানুষের নন। তিনি গোটা রাষ্ট্রের শত্রু ছিলেন এবং থাকবেন।’

২০১১ সালের ২ মে আমেরিকান সেনার হাতে লাদেনের হত্যার আগে পর্যন্ত ওয়ার্ল্ড ট্রেন্ড সেন্টার ধ্বংসের মাস্টারমাইন্ড লাদেন পাকিস্তানে আছেন, একথা স্বীকার করেনি দেশটি।

কিন্তু লাদেনকে সেদেশে পাওয়ার পরে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয় পাকিস্তানের।

১০ বছর ধরে খোঁজ করার পরে লাদেনের খোঁজ পেয়েছিল মার্কিন সেনা। আবোটাবাদে পাকিস্তানের এক মিলিটারি অ্যাকাডেমির কাছেই প্রাসাদোপম বাড়িতে থাকতেন লাদেন।  সেখানে তার পরিবারের অন্যান্যরাও ছিলেন।

কিন্তু রাতের অন্ধকারে মার্কিন সেনা আচমকা হানা দেয় সেখানে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই হত্যা করা হয় লাদেনকে। তারপর লাদেনের কফিন বন্দি মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয় সমুদ্রের গভীরে। সূত্র- দ্য ওয়াল।