ঢাকা ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানবপাচার রোধে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন

স্টাফ রিপোর্টারঃ  সদ্য প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্তরে উন্নীত হওয়াকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে বিষয়টির ওপর নজরদারি বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের উন্নতি নিয়ে এক ভিডিও বার্তায় এমন প্রতিক্রিয়া জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্তরে উন্নীত হওয়াকে বড় অর্জন। তবে এখানে থেমে গেলে চলবে না। সামনের দিনগুলোতে এই অর্জন আরও বাড়াতে মানবপাচার রোধে আরও নজরদারি বাড়াতে হবে।’

গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবপাচার বিষয়ক প্রতিবেদন ‘ট্রাফিকিং ইন পার্সন রিপোর্ট ২০২০’ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবপাচার রোধে উন্নতির তথ্য উঠে আসে।

গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার রিপোর্টে দ্বিতীয় স্থরের নজরদারি তালিকা থেকে দ্বিতীয় স্তরে উঠে আসে বাংলাদেশের নাম।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইভাঙ্কা ট্রাম্প রিপোর্টটি উদ্বোধন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবেদনে মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতে আটক বাংলাদেশের সাংসদ শহিদ ইসলাম পাপুলের নামও উঠে। বর্তমানে এই বাংলাদেশি সাংসদ দেশটির জেল হাজতে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার রিপোর্টে চারটি ক্যাটাগরিতে দেশগুলোকে ভাগ করা হয়। এগুলো হচ্ছে- প্রথম স্তর, দ্বিতীয় স্তর, দ্বিতীয় স্তর নজরদারি (ওয়াচলিস্ট) ও তৃতীয় স্তর।

ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকদিন পরপরই মানবপাচারের ঘটনা ঘটছে। পাচারকারীদের চিহ্নিত করে সামাজিকভাবে বয়কট করা দরকার।

তাছাড়া অবৈধভাবে যারা যায় তাদের মা-বাবা, আত্মী-স্বজনও দায়বদ্ধতার বাইরে না। আপনারা জেনেশুনে অবৈধভাবে বিদেশে পাঠাবেন না।’

কেউ যদি অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব দেয় তবে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরামর্শ দেন মোমেন।

এ সময় মোমেন মানবপাচার ইস্যুতে সম্প্রতি লিবিয়ায় ২৬ জন বাংলাদেশির মারা যাওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন।

আভ্যন্তরীণ এবং বিদেশে বিভিন্ন মানবপাচারের ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশিদের জড়িত থাকার কারণে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ায় গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার রিপোর্টে দ্বিতীয় স্তরের নজরদারি তালিকায় ছিল বাংলাদেশ।

ট্যাগস

মানবপাচার রোধে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৫:০২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ  সদ্য প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্তরে উন্নীত হওয়াকে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে বিষয়টির ওপর নজরদারি বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের উন্নতি নিয়ে এক ভিডিও বার্তায় এমন প্রতিক্রিয়া জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্তরে উন্নীত হওয়াকে বড় অর্জন। তবে এখানে থেমে গেলে চলবে না। সামনের দিনগুলোতে এই অর্জন আরও বাড়াতে মানবপাচার রোধে আরও নজরদারি বাড়াতে হবে।’

গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবপাচার বিষয়ক প্রতিবেদন ‘ট্রাফিকিং ইন পার্সন রিপোর্ট ২০২০’ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবপাচার রোধে উন্নতির তথ্য উঠে আসে।

গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার রিপোর্টে দ্বিতীয় স্থরের নজরদারি তালিকা থেকে দ্বিতীয় স্তরে উঠে আসে বাংলাদেশের নাম।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইভাঙ্কা ট্রাম্প রিপোর্টটি উদ্বোধন করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবেদনে মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতে আটক বাংলাদেশের সাংসদ শহিদ ইসলাম পাপুলের নামও উঠে। বর্তমানে এই বাংলাদেশি সাংসদ দেশটির জেল হাজতে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার রিপোর্টে চারটি ক্যাটাগরিতে দেশগুলোকে ভাগ করা হয়। এগুলো হচ্ছে- প্রথম স্তর, দ্বিতীয় স্তর, দ্বিতীয় স্তর নজরদারি (ওয়াচলিস্ট) ও তৃতীয় স্তর।

ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকদিন পরপরই মানবপাচারের ঘটনা ঘটছে। পাচারকারীদের চিহ্নিত করে সামাজিকভাবে বয়কট করা দরকার।

তাছাড়া অবৈধভাবে যারা যায় তাদের মা-বাবা, আত্মী-স্বজনও দায়বদ্ধতার বাইরে না। আপনারা জেনেশুনে অবৈধভাবে বিদেশে পাঠাবেন না।’

কেউ যদি অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব দেয় তবে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরামর্শ দেন মোমেন।

এ সময় মোমেন মানবপাচার ইস্যুতে সম্প্রতি লিবিয়ায় ২৬ জন বাংলাদেশির মারা যাওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন।

আভ্যন্তরীণ এবং বিদেশে বিভিন্ন মানবপাচারের ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশিদের জড়িত থাকার কারণে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ায় গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের মানবপাচার রিপোর্টে দ্বিতীয় স্তরের নজরদারি তালিকায় ছিল বাংলাদেশ।