ঢাকা ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই নেপালের ১০ জায়গার দখল নিল চীন

নেপাল চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  সবটাই কী ভারতের ওপর চাপ তৈরি করার জন্য? নাকি এখন গোটা পৃথিবী করোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকার মাঝে ক্রমেই নিজের এলাকা বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে চীন? নেপালে চীনের জমি দখলের খবর সামনে আসার পর এই প্রশ্নগুলোই ঘুরপাক খাচ্ছে।

নেপালের কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১১ স্থানের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে, চীন নেপালের প্রায় ৩৩ হেক্টর জমি-

নিজের দখলে নিয়েছে এবং সেখানে সেনা চৌকি তৈরির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। আর স্বাভাবিক সীমানা হিসেবে বয়ে চলা নদীর গতিপথও সেই কারণে বদলে দিয়েছে চীন।

এর মধ্যে ১০ হেক্টর জমি দখল করা হয়েছে হুমলা জেলায়, যেখানে চীনা নির্মাণের ফলে বাগদারে খোলা নদীর গতিপথ পাল্টে গেছে। এছাড়া রাসুয়া জেলায় একাধিক নদীর গতিপথ পাল্টে দিয়ে চীন ৬ হেক্টর জমি দখল করেছে।

সিন্ধুপালচক জেলার ১১ হেক্টর জমি খারানে খোলা ও ভোতেকোশি নদীর স্বাভাবিক সীমানা মেনে তিব্বতের মধ্যে পড়ছে দাবি করে দখল করেছে চীন।

এই সব কারণেই নেপালের কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, চীনের আগ্রাসনের ফলে নেপালের আরও জমি চীনের মধ্যে চলে যেতে পারে। যদিও নেপাল সরকারের মনোভাব ঠিক কী তা এখনও স্পষ্ট নয়।

সম্প্রতি নেপালের সরকারের পক্ষ থেকে চীন সরকারের নেতৃত্বে একটি ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হয়, যে ভার্চুয়াল ওয়ার্কশপের মূল বিষয়ই ছিল, কীভাবে প্রশাসন আরও‌ সুশৃঙ্খলভাবে চালানো যায়।

ফলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এর মাধ্যমেই নেপালের প্রশাসনের সরাসরি শি জিনপিংয়ের নাক গলানো শুরু হয়ে গেল। তারপর জমি দখল হলেও নেপালের কী করার? সূত্র: নিউজ এইটটিন

 

ট্যাগস

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই নেপালের ১০ জায়গার দখল নিল চীন

আপডেট সময় ১২:৪২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  সবটাই কী ভারতের ওপর চাপ তৈরি করার জন্য? নাকি এখন গোটা পৃথিবী করোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকার মাঝে ক্রমেই নিজের এলাকা বৃদ্ধির চেষ্টা চালাচ্ছে চীন? নেপালে চীনের জমি দখলের খবর সামনে আসার পর এই প্রশ্নগুলোই ঘুরপাক খাচ্ছে।

নেপালের কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১১ স্থানের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে, চীন নেপালের প্রায় ৩৩ হেক্টর জমি-

নিজের দখলে নিয়েছে এবং সেখানে সেনা চৌকি তৈরির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। আর স্বাভাবিক সীমানা হিসেবে বয়ে চলা নদীর গতিপথও সেই কারণে বদলে দিয়েছে চীন।

এর মধ্যে ১০ হেক্টর জমি দখল করা হয়েছে হুমলা জেলায়, যেখানে চীনা নির্মাণের ফলে বাগদারে খোলা নদীর গতিপথ পাল্টে গেছে। এছাড়া রাসুয়া জেলায় একাধিক নদীর গতিপথ পাল্টে দিয়ে চীন ৬ হেক্টর জমি দখল করেছে।

সিন্ধুপালচক জেলার ১১ হেক্টর জমি খারানে খোলা ও ভোতেকোশি নদীর স্বাভাবিক সীমানা মেনে তিব্বতের মধ্যে পড়ছে দাবি করে দখল করেছে চীন।

এই সব কারণেই নেপালের কৃষি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, চীনের আগ্রাসনের ফলে নেপালের আরও জমি চীনের মধ্যে চলে যেতে পারে। যদিও নেপাল সরকারের মনোভাব ঠিক কী তা এখনও স্পষ্ট নয়।

সম্প্রতি নেপালের সরকারের পক্ষ থেকে চীন সরকারের নেতৃত্বে একটি ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হয়, যে ভার্চুয়াল ওয়ার্কশপের মূল বিষয়ই ছিল, কীভাবে প্রশাসন আরও‌ সুশৃঙ্খলভাবে চালানো যায়।

ফলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এর মাধ্যমেই নেপালের প্রশাসনের সরাসরি শি জিনপিংয়ের নাক গলানো শুরু হয়ে গেল। তারপর জমি দখল হলেও নেপালের কী করার? সূত্র: নিউজ এইটটিন