ঢাকা ১২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাকাতি করতে নৈশপ্রহরীকে খুন, গুলিতে ৩ ডাকাত নিহত

ডাকাতি করতে নৈশপ্রহরীকে খুন

ফেনীপ্রতিনিধিঃ  ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বেকেরবাজারে ডাকাতির সময় দুর্বৃত্তরা আবদুল মান্নান (৪৫) ওরফে মনু নামে এক নৈশ প্রহরীকে খুন করেছে।

এ ঘটনা টের পেয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৪ জনকে আটক করে। তবে এদের ৩ জন পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে প্রাণ হারায়।  বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুর্বৃত্তরা ফেনী-মাইজদী মহাসড়ক সংলগ্ন বাজারের শরিয়ত অ্যান্ড ব্রাদার্সের দোকানের তালা ভেঙ্গে ট্রাকে মালামাল তুলছিল।

নৈশপ্রহরী মনু ও রফিক ঘটনাটি দেখে শোরচিৎকার করে বাধা দেয়। লোকজন টের পেয়ে মসজিদের মাইকেও ঘোষণা দেয়। এতে পুলিশ ও আশপাশের লোকজন আসতে দেখে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম সিকদার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলের পাশে নেশপ্রহরী মান্নানের মৃতদেহ দেখতে পায়। অন্যদিকে তাৎক্ষনিক আশপাশে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৪ জনকে আটক করে।

তিনি আরো জানান, সেসময় আটকদের ছিনিয়ে নিতে সহযোগীরা পুলিশের সঙ্গে কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় করে। এতে ৩ ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়।

এদের মধ্যে ২ জন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অপর দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এদের আরও একজনের অবস্থা সংকটজনক ছিল।

পরে হাসপাতালে সেও মারা যায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি।  হতাহতদের নাম পরিচয় এখনও জানাতে পারেনি পুলিশ।

ঘটনায় নিহত নৈশপ্রহরী মনু আশ্রাফপুর গ্রামের নুরনবীর ছেলে। গলায় গামছা পেঁছিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারনা।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

ডাকাতি করতে নৈশপ্রহরীকে খুন, গুলিতে ৩ ডাকাত নিহত

আপডেট সময় ১১:৪৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০

ফেনীপ্রতিনিধিঃ  ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বেকেরবাজারে ডাকাতির সময় দুর্বৃত্তরা আবদুল মান্নান (৪৫) ওরফে মনু নামে এক নৈশ প্রহরীকে খুন করেছে।

এ ঘটনা টের পেয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৪ জনকে আটক করে। তবে এদের ৩ জন পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে প্রাণ হারায়।  বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুর্বৃত্তরা ফেনী-মাইজদী মহাসড়ক সংলগ্ন বাজারের শরিয়ত অ্যান্ড ব্রাদার্সের দোকানের তালা ভেঙ্গে ট্রাকে মালামাল তুলছিল।

নৈশপ্রহরী মনু ও রফিক ঘটনাটি দেখে শোরচিৎকার করে বাধা দেয়। লোকজন টের পেয়ে মসজিদের মাইকেও ঘোষণা দেয়। এতে পুলিশ ও আশপাশের লোকজন আসতে দেখে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম সিকদার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলের পাশে নেশপ্রহরী মান্নানের মৃতদেহ দেখতে পায়। অন্যদিকে তাৎক্ষনিক আশপাশে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৪ জনকে আটক করে।

তিনি আরো জানান, সেসময় আটকদের ছিনিয়ে নিতে সহযোগীরা পুলিশের সঙ্গে কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় করে। এতে ৩ ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়।

এদের মধ্যে ২ জন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অপর দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এদের আরও একজনের অবস্থা সংকটজনক ছিল।

পরে হাসপাতালে সেও মারা যায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি।  হতাহতদের নাম পরিচয় এখনও জানাতে পারেনি পুলিশ।

ঘটনায় নিহত নৈশপ্রহরী মনু আশ্রাফপুর গ্রামের নুরনবীর ছেলে। গলায় গামছা পেঁছিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারনা।