আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের হাতে ২০ ভারতীয় সেনা জওয়ান নিহত হওয়ার ঘটনায় সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিশোধ নিতে মরিয়া ভারত লাদাখে যুদ্ধবিমান ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে।
চীনও পিছু হটেনি, বরং উত্তেজনা বাড়িয়ে সেনা বৃদ্ধি করে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে চীনা বাহিনীকে মোকাবেলায় ৩৪৮৮ কিলোমিটার-
এলএসি’তে স্পেশাল ‘মাউন্টেন ফোর্স’ মোতায়েন করেছে ভারত। এই সেনারা বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত, যারা পাহাড়ের উচ্চতা থেকে সবদিকে নজর রাখে৷
এই মাউন্টেন ফোর্সের সেনারা গেরিলা যুদ্ধে সিদ্ধহস্ত ৷ কঠিন পরিস্থিতিতে এরা প্রতিপক্ষকে মোক্ষম জবাব দিতে পারে ৷ পাহাড়ে লড়াই করার জন্য এদের বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হয় ৷
কয়েকদিন আগে চীনের একজন সামরিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছিলেন, ভারতের মাউন্টেন ফোর্স অত্যন্ত দক্ষ ৷ আর তাদের দক্ষতার নিরিখে আমেরিকা ও রাশিয়ার সেনাদের থেকেও এগিয়ে রেখেছিলেন ৷
কারণ এরা পাহাড়ে যুদ্ধ চালানোর জন্যেই প্রশিক্ষণ পান ৷ ১৯৯৯ সালে কারগিল যুদ্ধের সময় মাউন্টেন ফোর্স পাকিস্তানের সেনাদের আক্রমণের মোক্ষম জবাব দিয়েছিল ৷
একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মাউন্টেন ফোর্স প্রকৃত নিশানা লক্ষ্য করে সফল হামলা চালাতে পারে ৷
এই ফোর্স উত্তরাখণ্ড, লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ, আর সিকিমে মোতায়েন থাকে ৷ চীনের সঙ্গে সীমান্তের কিছুটা অঞ্চল সমতল ৷ তবে বেশ কিছু এলাকায় দুর্গম পাহাড়ি চেকপোস্ট রয়েছে ৷
এর জন্য যে কোনো সেনা সহজে যে কোনো দিকে ঢুকে যেতে পারে না ৷ কিন্তু মাউন্টেন ফোর্স খুব ভাল ভাবে এই চেকপোস্টগুলো সামলাতে পারে।
পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চীনা আগ্রাসন এবং বিপুল সংখ্যায় বাহিনী মোতায়েন করার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার৷
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় প্রায় ১৪ হাজার ফুট উচ্চতার খাড়া ভূখণ্ডের ঢালে চীন ও ভারতের সেনাবাহিনী সংঘাতে জড়ালে বেশ কিছু সেনা দ্রুত প্রবাহিত গালওয়ান নদীর হিমাঙ্কের নিচে থাকা পানিতে পড়ে যায়।
এতে ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের পাশাপাশি ৭৬ জন আহত হয়। চীনা হতাহতের পরিমাণ নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি বেইজিং। সূত্র- নিউজ ১৮।