রাজশাহী প্রতিনিধিঃ কথা ছিল ঢাকায় নিয়ে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু সেই চাকরির নামে নিজের অজান্তেই পাচার হয়ে যান এক তরুণী। পরে তাকে রাজবাড়ির দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
তবে শেষ পর্যন্ত নিজের চেষ্টা ও ভাগ্যের জোরে অন্ধকার সেই জগৎ থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন তরুণী। এর পর ওই মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) ভোরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার উজানপাড়া এলাকা থেকে মানবপাচারকারী আলিফ হোসেনকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়। আলিফ রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার গুড়িপাড়া এলাকায় তকবুল হোসেনের ছেলে।
রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম মঙ্গলবার বিকেলে এ মানবপাচারের ঘটনা ও দোষি ব্যক্তি গ্রেফতার অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইফতে খায়ের আলম বলেন, গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলিফ জানিয়েছেন- ঢাকার পোশাক কারখানায় চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
কিন্তু তিনি রাজবাড়ির দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে নিয়ে গিয়ে মাত্র ২৫ হাজার টাকায় তাকে বিক্রি করে দিয়ে আসেন।
আলিফ মানবপাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে। এ চক্রের আরও তিনজনের নাম বলেছে। বর্তমানে তাদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গোদাগাড়ীর ওই অসহায় তরুণীকে গত ৯ জুন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়েছিল আলিফ।
১৫ জুন ওই তরুণী বহু কষ্টে দৌলতদিয়া যৌনপল্লি থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। তিনি বাড়ি ফিরে পরিবারকে ঘটনা খুলে বলেন।
পরে তারা গোদাগাড়ী থানায় অভিযোগ করেন। পরে রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহর নির্দেশে তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ওই মানবপাচারকারীকে ধরতে রাতেই অভিযান শুরু করে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ।
পরে মঙ্গলবার ভোরে মানবপাচারকারী আলিফকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম।