ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, কারফিউ জারি

বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, কারফিউ জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  পুলিশের হাতে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক হত্যাকে ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। ‘আমি শ্বাস নিতে পারিছ না’ – এমন শ্লোগানকে ধারণ করে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৩০টি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন।

এতে দেশটির বেশকিছু বড় বড় শহরে কারফিউ জারি করতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

কারফিউ আরোপ করা শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে- আটলান্টা, লস অ্যাঞ্জলস, ফিলাডেলফিয়া, ডেনভের, সিনসিনাটি, পোর্টল্যান্ড, ওরেজন, লুসভিলে এবং কেনটাকি।

৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েডকে ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পর একজন পুলিশ অফিসার হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরলে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে করোনা উপেক্ষা করে প্রতিবাদে সরব হন হাজার হাজার মানুষ।

হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর বিক্ষোভকারীরা সহিংস হয়ে ওঠেন, শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন লাগিয়ে দেন। সারা রাত মিনোপোলিস পুলিশ স্টেশনের আশপাশে বিক্ষোভ করেন।

এ সময় বিভিন্ন দোকানপাটে লুটপাট চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় যানবাহন ও বিভিন্ন ভবনে।নচলমান এই বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ হয়ে শুক্রবার (৩০ মে) দেশটির ফেডারেল প্রটেক্টিভ সার্ভিসের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

বিষয়টিতে এক বিবৃতিতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইর সান ফ্রান্সিসকো শাখা বলেছে, ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ফেডারেল প্রটেক্টিভ সার্ভিসের চুক্তিভিত্তিক দুই কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে এক ব্যক্তি গুলি ছুড়েছে।

পরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে।

এ দিকে, বিক্ষোভকারীরা জমায়েত হতেই হোয়াইট হাউস লকডাউন করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ এভাবে কারও সঙ্গে নির্মম আচরণ করতে পারে না।

সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সকল কৃষ্ণাঙ্গের ওপর এ ধরনের নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন তারা লুটেরা ও নৈরাজ্য চায়।’

অন্যদিকে জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার জন্য অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ ডেরেক শভিনকে সোমবার (১ জুন) আদালতে হাজির হতে হবে বলে জানা গেছে। তথ্যসূত্র: রয়টার্স

ট্যাগস

বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র, কারফিউ জারি

আপডেট সময় ১২:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  পুলিশের হাতে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক হত্যাকে ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। ‘আমি শ্বাস নিতে পারিছ না’ – এমন শ্লোগানকে ধারণ করে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৩০টি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন।

এতে দেশটির বেশকিছু বড় বড় শহরে কারফিউ জারি করতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

কারফিউ আরোপ করা শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে- আটলান্টা, লস অ্যাঞ্জলস, ফিলাডেলফিয়া, ডেনভের, সিনসিনাটি, পোর্টল্যান্ড, ওরেজন, লুসভিলে এবং কেনটাকি।

৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েডকে ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পর একজন পুলিশ অফিসার হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরলে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে করোনা উপেক্ষা করে প্রতিবাদে সরব হন হাজার হাজার মানুষ।

হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর বিক্ষোভকারীরা সহিংস হয়ে ওঠেন, শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন লাগিয়ে দেন। সারা রাত মিনোপোলিস পুলিশ স্টেশনের আশপাশে বিক্ষোভ করেন।

এ সময় বিভিন্ন দোকানপাটে লুটপাট চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় যানবাহন ও বিভিন্ন ভবনে।নচলমান এই বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ হয়ে শুক্রবার (৩০ মে) দেশটির ফেডারেল প্রটেক্টিভ সার্ভিসের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

বিষয়টিতে এক বিবৃতিতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইর সান ফ্রান্সিসকো শাখা বলেছে, ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ফেডারেল প্রটেক্টিভ সার্ভিসের চুক্তিভিত্তিক দুই কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে এক ব্যক্তি গুলি ছুড়েছে।

পরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে।

এ দিকে, বিক্ষোভকারীরা জমায়েত হতেই হোয়াইট হাউস লকডাউন করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ এভাবে কারও সঙ্গে নির্মম আচরণ করতে পারে না।

সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সকল কৃষ্ণাঙ্গের ওপর এ ধরনের নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন তারা লুটেরা ও নৈরাজ্য চায়।’

অন্যদিকে জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার জন্য অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ ডেরেক শভিনকে সোমবার (১ জুন) আদালতে হাজির হতে হবে বলে জানা গেছে। তথ্যসূত্র: রয়টার্স