স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ : পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিতে নওগাঁর গজারিয়া বিলের প্রায় ৩শ বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।
নদী খনন করা মাটি বিলের পানি নামার পথে ফেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের বর্ষণে পানি নামতে না পারায় তলিয়ে গেছে পাকা ধান।
খনন করা নদীর মাটি বিলের মুখ থেকে সরানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসনে লিখিত আবেদন করেও প্রতিকার না পাওয়ার অভিযোগ এলাকাবাসীর। দায়িত্বহীনতার জন্য উপজেলা প্রশাসন পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দুষছেন, আর পানি উন্নয়ন বোর্ড দেখাচ্ছে নানা অজুহাত।
হাঁটু পানিতে তলিয়ে থাকা পাকা ধান কাস্তে দিয়ে কেটে তুলছেন নওগাঁ সদর উপজেলার গজারিয়া বিলের চাষিরা । ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে এ বিলের কয়েকশো বিঘা জমির ধান তলিয়ে যায় পানিতে।
প্রতি বছর ভারী বর্ষণে বিলে পানি জমলেও দ্রুত নেমে যায় স্থানীয় তুলসী গঙ্গা নদীতে। বিলের পানি নামার পথে নদীর খনন করা মাটি ফেলার কারণে বন্ধ হয়ে যায় পানিপথ। ফলে বিলে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। তাই কৃষকরা তলিয়ে যাওয়া পাকা ধান হাঁটু পানি থেকে কেটে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন ।
একজন কৃষক বলেন, ‘পানির নিচে ধান। তুলতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
আরেকজন বলেন, ‘কৃষকের কিসে সুবিধা হবে, এটা যেন সরকার থেকে ব্যবস্থা করে।’
নদী খননের মাটি বিলের পানি নামার পথ থেকে সরানোর জন্য গত ২৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে চিঠি দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। পানি উন্নয়ন বোর্ড গুরুত্ব না দেয়ায় এমন বিপর্যয় বলে অভিযোগ করেন নওগাঁ চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বেদারুল ইসলাম মুকুল।
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় ফোন দিলে আমার ফোনই রিসিভ করেন না। তখন আমি বাধ্য হয়ে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছি। তবুও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’
বিষয়টিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি বলে মনে করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, ‘কয়েকবার পরিদর্শন করে বুঝেছি, এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটা প্রজেক্টের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাটি কাটে।’
৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭ কিলোমিটার তুলসী গঙ্গা নদী খনন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড । তবে বিলের পানি পথ বন্ধের বিষয়টি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে মত নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুধাংসু কুমার সরকারের।
নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের কয়েকশো কৃষকের প্রায় ৫শ বিঘা জমি রয়েছে গজারিয়ার এ বিলে ।