বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলার একই পরিবারের ৭জন ও ৪ পুলিশ সদস্য সহ নতুন করে আরও ১১জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর ল্যাবে এ জেলার ১৭৬টিসহ মোট ১৮৮ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বাদবাকি ১২টি সিরাজগঞ্জের নমুনা ছিল।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, বগুড়া পুলিশ লাইনে কর্মরত পুলিশের যে সদস্যরা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বাইরে যাওয়ার কোন হিস্ট্রি নেই। তাদের মধ্যে একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার। তার বয়স ৫৬ বছর। আর বাকি ৩জন কনস্টেবল। তাদের বয়স যথাক্রমে ৫৫, ৫৬ ও ২৭। গত ১১ মে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার এক ব্যবসায়ী পরিবারের যে ৭জন আক্রান্ত হয়েছেন তারা সবাই ঢাকা ফেরত। ওই ৭জনের মধ্যে ৩জন পুরুষ এবং ৪জন নারী। পুরুষদের বয়স হলো- ৩৯, ৩৫ ও ২৭। নারীদের বয়স যথাক্রমে ৫৯, ৫৭, ১৮ ও ১৪। গত ৮ মে তারা ঢাকা থেকে বগুড়া ফেরেন। এরপর ১১ মে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
জানা গেছে, আক্রান্ত ওই ৭জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণকারী বগুড়া সৈয়দ আহম্মদ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নজবুল হকের পরিবারের সদস্য। নজবুল হক গত ৮ মে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তাকে দেখতে বগুড়া থেকে পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় গিয়েছিলেন।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জলেশ্বরীতলা একই পরিবারের ৭জনকে তাদের বাড়িতেই লকডাউনে রাখা হয়েছে। সেখানেই তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বগুড়ায় মার্কেট খুলে দেওয়ার কারণে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে কি’না সেটা আরও কয়েকদিন পর বোঝা যাবে।
এ নিয়ে গত ১ এপ্রিল থেকে বগুড়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধশত ছাড়ালো। তাদের মধ্যে ৯জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
বগুড়ায় পুলিশের মিডিয়া বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, পুলিশ লাইনে ইতিপূর্বে করোনায় আক্রান্ত এক কনস্টেবলের সঙ্গে একই রুমে থাকার কারণে নতুন করে ৪জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদেরকে পুলিশ লাইনে কোয়ারেন্টিনে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী বগুড়ায় এ পর্যন্ত ২ নারী কনস্টেবলসহ মোট ৯ পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আহসান হাবিব নামে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত এক কনস্টেবল সুস্থ হয়ে বগুড়ার আদমদীঘিতে তার বাড়ি ফিরে গেছেন।