ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo শ্রমিকলীগ-ছাত্রলীগ ছেড়ে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেন তিন নেতাকর্মী Logo বাংলাদেশকে ভারতের একটি পুতুল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল আওয়ামী লীগ : নূর Logo ক্যান্সারের মাঝেই নতুন রোগে আক্রান্ত হিনা খান Logo জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের বিষয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা Logo চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে খালেদা জিয়াকে Logo পাকিস্তানে পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদের সন্ধান মিলেছে Logo ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪০৩ জন Logo চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ Logo আন্দোলনে আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল ড. ইউনূস Logo সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ছেলে তমাল অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার

আম-লিচু বাজারে আনতে সভায় বসছে সরকার

ছবিঃ আম

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে আগামী শনিবার বেলা ১১টায় এই ভার্চুয়াল সভা হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় ওই সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ, কর্মকর্তা, ফল চাষী, ফল ব্যবসায়ী, আড়তদার এবং সংশ্লিষ্ট সমিতির প্রতিনিধিদের যুক্ত করা হবে।

আম, লিচুসহ অন্যান্য মৌসুমি ফল ইতোমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। আমের প্রধান উৎপাদনস্থল দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় কোন জাতের আম কবে গাছ থেকে নামানো যাবে সেই সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সব অফিস-আদালত বন্ধ রেখেছে, আগামী ১৬ মে পর্যন্ত ঘোষিত ‘ছুটির’ মধ্যে যাত্রীবাহী পরিবহনেও বিধিনিষেধ রয়েছে। এই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে বলেও আভাস দিয়েছেন কর্মকর্তারা।

কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এড়াতে এই সময় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। ফলে বেশিরভাগ শ্রমজীবী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বছর বছর যারা মৌসুমি ফলের ব্যবসা করেন, এবার তাদের কাপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। অনেক খামারি এবার আগেভাগে ফল ব্যবসায়ীদের কাছে গাছ বা পুরো বাগান বিক্রি করতে পারেননি। যারা ফলের বাগান কিনেছেন, তাদের চিন্তা আরও বেশি।

“পরিবহন করতে না পারলে চাষী ও ব্যবসায়ীরা বড় বিপদে পড়বেন। মূলত তাদের কীভাবে সহায়তা করা যায় সবার সঙ্গে কথা বলে সেই উপায় বের করা হবে। আম, লিচু, কাঁঠালসহ কোনো মৌসুমি ফল যেন বিপণনের দেরির কারণে নষ্ট না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা নেওয়া হবে।”

প্রয়োজনে ‘সরকারি চেইনে’ এবারের মৌসুমি ফল সারা দেশে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন ৭২ প্রজাতির ফলের চাষ হয়, যার মধ্যে আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে ২৩ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে।

গত দেড় যুগে দেশে ফল উৎপাদন বেড়েছে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে, মাথাপিছু ফল খাওয়ার পরিমাণও গত এক যুগে দ্বিগুণ হয়েছে।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

শ্রমিকলীগ-ছাত্রলীগ ছেড়ে ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেন তিন নেতাকর্মী

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

আম-লিচু বাজারে আনতে সভায় বসছে সরকার

আপডেট সময় ০১:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে আগামী শনিবার বেলা ১১টায় এই ভার্চুয়াল সভা হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় ওই সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ, কর্মকর্তা, ফল চাষী, ফল ব্যবসায়ী, আড়তদার এবং সংশ্লিষ্ট সমিতির প্রতিনিধিদের যুক্ত করা হবে।

আম, লিচুসহ অন্যান্য মৌসুমি ফল ইতোমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। আমের প্রধান উৎপাদনস্থল দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় কোন জাতের আম কবে গাছ থেকে নামানো যাবে সেই সময়ও নির্ধারণ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সব অফিস-আদালত বন্ধ রেখেছে, আগামী ১৬ মে পর্যন্ত ঘোষিত ‘ছুটির’ মধ্যে যাত্রীবাহী পরিবহনেও বিধিনিষেধ রয়েছে। এই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে বলেও আভাস দিয়েছেন কর্মকর্তারা।

কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এড়াতে এই সময় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। ফলে বেশিরভাগ শ্রমজীবী কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, বছর বছর যারা মৌসুমি ফলের ব্যবসা করেন, এবার তাদের কাপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। অনেক খামারি এবার আগেভাগে ফল ব্যবসায়ীদের কাছে গাছ বা পুরো বাগান বিক্রি করতে পারেননি। যারা ফলের বাগান কিনেছেন, তাদের চিন্তা আরও বেশি।

“পরিবহন করতে না পারলে চাষী ও ব্যবসায়ীরা বড় বিপদে পড়বেন। মূলত তাদের কীভাবে সহায়তা করা যায় সবার সঙ্গে কথা বলে সেই উপায় বের করা হবে। আম, লিচু, কাঁঠালসহ কোনো মৌসুমি ফল যেন বিপণনের দেরির কারণে নষ্ট না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা নেওয়া হবে।”

প্রয়োজনে ‘সরকারি চেইনে’ এবারের মৌসুমি ফল সারা দেশে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন ৭২ প্রজাতির ফলের চাষ হয়, যার মধ্যে আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে ২৩ লাখ ৭২ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে।

গত দেড় যুগে দেশে ফল উৎপাদন বেড়েছে সাড়ে ১১ শতাংশ হারে, মাথাপিছু ফল খাওয়ার পরিমাণও গত এক যুগে দ্বিগুণ হয়েছে।