হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ করোনাভাইরাস সঙ্কটে ধান কাটার জন্য ঢাকা থেকে শ্রমিক পাঠানো হলেও তাদের পথে থেকেই ফেরত পাঠিয়েছে হবিগঞ্জ।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ বলছেন, সেখানে ধান কাটতে শ্রমিক যায় পাবনা ও সিরাজগঞ্জ থেকে, ফলে ঢাকার শ্রমিকদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে লকডাউন চলছে দেশজুড়ে; রোগ সংক্রমণ এড়াতে মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে না যাওয়ার নির্দেশনাও রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে হাওরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বোরো ধান কাটার শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কারণ আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে যেসব শ্রমিক যেত, এখন যেতে পারছে না। এই সঙ্কটের আপাত অবসানে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, যেসব এলাকায় কৃষিশ্রমিকের প্রয়োজন, তাদের যেন পুলিশের ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠানো হয়।
এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে চারটি বাসে করে ৬৫ জন শ্রমিককে হবিগঞ্জে পাঠায় পুলিশ ও শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগ।
তখন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এম এম আজিমুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, এসব শ্রমিকদের বাড়ি হবিগঞ্জের বিভিন্ন থানা এলাকায়। তারা শাহবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকের কাজ করে।
শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগ এসব শ্রমিকদের সংগ্রহ করে। তাদের পাঠাতে চারটি বাসের খরচও পুলিশ ও থানা আওয়ামী লীগ বহন করে।
কিন্তু বাসগুলো নরসিংদী জেলা পার হওয়ার পর ঢাকার দিকে ফেরত পাঠানো হয়।
শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিন দিন আগে ৬৫ জনের তালিকা হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানার ওসিকে পাঠানো হয়েছিল, তাদের পরিচয় যাচাই করা জন্য।
“পাঠানোর আগেও তাকে বলা হয়েছিল। কিন্তু রওনা হওয়ার পর দুপুরে জানায়, ওই চারটি বাস ঢুকতে পারবে না, সমস্যা আছে।”
কী কারণে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মিথ্যা তথ্য দিয়ে অনেকে ঢুকতে চায়।
“তিন দিন আগে তিনজন মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঢুকেছিল। তাদের মধ্যে দুজনের শরীরের করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে।”
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বলেন, স্বাভাবিক সময়ে ওই জেলায় ধান কাটার শ্রমিক যায় পাবনা ও সিরাজগঞ্জ থেকে থেকে, ঢাকা থেকে নয়। সেজন্য এই সঙ্কটের সময়ও ইতোমধ্যে ওই দুই জেলা থেকে শ্রমিক হবিগঞ্জে নেওয়া হয়েছে।