রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিঃ রাঙ্গামাটির জুরাছড়িতে এক ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষীয় দুর্বৃত্তরা। নিহতের নাম হেমন্ত চাকমা। তিনি উপজেলার ২ নম্বর বনযোগী ছড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।
শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলা সদরের ধামাইপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, নিজ বাড়ির কাছাকাছি তার এক বন্ধুর বাসায় রাতের খাবার খেয়ে সেখানে কথা বলছিলেন হেমন্ত চাকমা।
এমন সময় অতর্কিত হানা দিয়ে তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান হেমন্ত চাকমা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার জন্য সংস্কারবাদী জেএসএসকে দায়ী করে স্থানীয় অনেকে জানান, হেমন্ত চাকমা এক সময় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস (মূল) দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও পরে রাজনীতি ছাড়েন। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
জুরাছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, ঘটনাটি উপজেলা সদরে ঘটেছে। হেমন্তু চাকমা তার এক বন্ধুর বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়ে তাকে গুলি করে হত্যার পর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেছে।
জুরাছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাই বলেন, সন্ত্রাসীরা হেমন্ত চাকমাকে গুলি করে হত্যার পর পালিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জেলা পুলিশের (গোয়েন্দা শাখা-১) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নজিবুল্ল্যাহ জানান, নিহতের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে, জুরাছড়ি থানা পুলিশ।
এদিকে করোনা আতঙ্কের মধ্যেও পাহাড়ে থামছে না হত্যাকাণ্ড। কয়েকটি আ লিক দলের মধ্যকার অব্যাহত হানাহানি ও সহিংস ঘটনায় উদ্বিগ্ন পাহাড়ের মানুষ। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যার শিকার হলেন তিন জন।
করোনা ছুটির প্রথম দিনেই সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারান, জেলার বাঘাইছড়ির দুর্দভ চাকমা নামে এক ব্যক্তি। তিনি সংস্কারবাদী জেএসএস সদস্য ছিলেন।
এর এক সপ্তাহের মাথায় জেলার কাপ্তাইয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন, চিৎমরম ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি উসুই প্রু মারমা। সর্বশেষ ইউপি সদস্য হেমন্ত চাকমা হত্যা নিয়ে গত ১৫ দিনের ব্যবধানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারালেন তিন জন।