কারা কর্তৃপক্ষের ডাকে শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কারাগারে প্রবেশ করেন মাজেদের স্ত্রী সালেহা, স্ত্রীর বোন, বোন জামাই, ভাতিজা ও একজন চাচা শ্বশুর। সন্ধ্যা ৭টার পর বেরিয়ে আসেন তারা।
ক্যাপ্টেন মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে তার স্বজনদের সাক্ষাৎ করতে ডেকে নেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
রাত ৯টায় কারা সূত্র জানায়, আজ মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হবে না। কারা কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত থাকলেও বিধি অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পরই ফাঁসি কার্যকর করা হবে। রাত ৯টা পর্যন্ত যেহেতু নির্দেশনা আসেনি, তাই আজ সম্ভাবনা নেই।
এছাড়া ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের সময় ঢাকা জেলার ডিসি, এসপি ও সিভিল সার্জনের উপস্থিত থাকার কথা। তাদের কাউকেই আজ উপস্থিত হওয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়নি।
দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে জল্লাদের একটি দল। যেকোনো সময় কার্যকর হতে পারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড। শনিবার অথবা রোববার ফাঁসি কার্যকরের সম্ভাবনা বেশি৷
বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক থাকলেও ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রিকশায় ঘোরাঘুরির সময় তাকে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
পরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সিটিটিসি। এরপর মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
৮ এপ্রিল মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আবদুল মাজেদ। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
কারা সূত্র জানায়, প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করে দেয়ার পর সেই চিঠিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। কারাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম চলবে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। প্রাণভিক্ষার আবেদন বাতিল হয়ে যাওয়ায় ফাঁসির আদেশ কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকলো না। এখন পরবর্তী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তার ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হবে।