ডেক্স রিপোর্ট:বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে গোটা মানবজাতি আজ বিপর্যস্ত। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপরও। এ ঘটনায় বিশ্বের প্রায় ৫০ কোটি মানুষ দরিদ্র হওয়ার চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া ওই প্রতিবেদনে জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিশ্বে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়বে। শুধু দরিদ্রের সংখ্যা বাড়বেই নয়; অর্ধকোটি মানুষের জীবনকে অনাকাঙ্খিত এক অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেবে মহামারি এ করোনাভাইরাস।
আগামী সপ্তাহে বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও জি-২০ এর অর্থমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ঠিক আগ দিয়ে এমন তথ্য তুলে ধরল জাতিসংঘ।
অক্সফামের তত্ত্বাবধানে গবেষণাটি সম্পন্ন করেছেন লন্ডনের কিংস কলেজ এবং অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (এএনইউ) বিশেষজ্ঞরা।
এএনইউ’র ক্রিস্টোফার হয় বলেন, অর্থনৈতিক সংকট সম্ভবত স্বাস্থ্য সংকটের চেয়ে তীব্র হতে যাচ্ছে।
ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দারিদ্র্য কবলিত মানুষের সংখ্যা ৪০ থেকে ৬০ কোটি বাড়বে। বলা হয়েছে ভাইরাসটি ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লন্ডনের কিংস কলেজের প্রফেসর অ্যান্ডি সামনার বলেন, আমাদের অনুসন্ধান উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যথাশীঘ্র সম্ভব সামাজিক সুরক্ষা জাল বিস্তারের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেছে, আরও বৃহত্তরভাবে বলতে গেলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কোভিডের প্রভাবের ওপর এবং তাদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের করণীয়ের প্রতি বিস্তারিত মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মহামারি শেষ হয়ে গেলে বিশ্বের মোট ৭৮০ কোটি মানুষের অর্ধেকই দারিদ্র্যের মধ্যে থাকবে। নতুন করে দরিদ্র হয়ে পড়া মানুষদের প্রায় ৪০ শতাংশই হবে পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায়। আর এর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ করে থাকবে সাব-সাহারান আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়।