ঢাকা ০৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের বাজারে এলো রয়েল এনফিল্ড

প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের বাজারে এলো ভারতের বিখ্যাত মোটরসাইকেল রয়েল এনফিল্ড। শুরুতে চারটি মডেল দিয়ে দেশে যাত্রা করেছে রাজকীয় এই মোটরসাইকেল। দেশে এই বাইকের উৎপাদন, সংযোজন এবং বাজারজাতকরণের দায়িত্বে আছে ইফাদ মটরস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম রয়েল এনফিল্ড তৈরির প্লান্ট রয়েছে।সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত রয়েল এনফিল্ডের ফ্ল্যাগশিপ শোরুমে এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দেশের বাজারে মোটরসাইকেল লঞ্চ করা হয়। 

বাংলাদেশে আসা রয়েল এনফিল্ডের চারটি মডেলের মধ্যে আছে-হান্টার, ক্লাসিক, বুলেট ও মেটিওর।ইফাদ মোটরস লিমিটেডের রয়্যাল এনফিল্ড বিভাগের হেড অব বিজনেস মমিনুর রহমান তানভীর জানান, বাজারে হান্টার মডেলের দাম শুরু হবে তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে; ক্লাসিক মডেলের দাম শুরু হবে চার লাখ ৫ হাজার টাকা থেকে; বুলেট মডেলের দাম শুরু হবে চার লাখ ১০ হাজার টাকা থেকে এবং মেটিওর মডেলের দাম শুরু হবে চার লাখ ৩৫ হাজার টাকা থেকে।তিনি বলেন, এই চারটি মডেলে থাকবে উন্নত ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম এবং পরিমার্জিত সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ‘জে’ (J) সিরিজের ইঞ্জিন।

এছাড়া রঙ ও ব্রেকিং সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে আলাদা ভেরিয়েন্টও থাকবে।রয়েল এনফিল্ড বিভাগের হেড অব বিজনেস বলেন, আজ মোটরসাইকেলগুলো সবার সামনে আনা হলেও আজ থেকেই বিক্রি শুরু হবে না। রয়্যাল এনফিল্ডের মোটরসাইকেল কিনতে হলে প্রি-বুকিং বাধ্যতামূলক। ক্রেতারা এটি ওয়েবসাইট ও শোরুম থেকে ক্রয় করতে পারবেন। আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে প্রি-বুকিং শুরু হবে।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের অনুমতি দেয়।

এরপর বাজাজ, হোন্ডা, ইয়ামাহা এবং রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে হায়ার সিসির বাইক আনতে তোড়জোর শুরু করে। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হায়ার সিসির বাইক এ দেশেই সংযোজন করতে হবে। এমনকি মোটরসাইকেলের বেশ কিছু যন্ত্রাংশ এ দেশেই তৈরি করতে হবে। সেই নিয়ম মেনেই রয়েল এনফিল্ড ইফাদ অটোসকে দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশে এই বাইক উৎপাদন, ইঞ্জিন সংযোজন এবং বাজারজাতকরণের।

ট্যাগস

বাংলাদেশের বাজারে এলো রয়েল এনফিল্ড

আপডেট সময় ০৪:৫৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের বাজারে এলো ভারতের বিখ্যাত মোটরসাইকেল রয়েল এনফিল্ড। শুরুতে চারটি মডেল দিয়ে দেশে যাত্রা করেছে রাজকীয় এই মোটরসাইকেল। দেশে এই বাইকের উৎপাদন, সংযোজন এবং বাজারজাতকরণের দায়িত্বে আছে ইফাদ মটরস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম রয়েল এনফিল্ড তৈরির প্লান্ট রয়েছে।সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত রয়েল এনফিল্ডের ফ্ল্যাগশিপ শোরুমে এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দেশের বাজারে মোটরসাইকেল লঞ্চ করা হয়। 

বাংলাদেশে আসা রয়েল এনফিল্ডের চারটি মডেলের মধ্যে আছে-হান্টার, ক্লাসিক, বুলেট ও মেটিওর।ইফাদ মোটরস লিমিটেডের রয়্যাল এনফিল্ড বিভাগের হেড অব বিজনেস মমিনুর রহমান তানভীর জানান, বাজারে হান্টার মডেলের দাম শুরু হবে তিন লাখ ৪০ হাজার টাকা থেকে; ক্লাসিক মডেলের দাম শুরু হবে চার লাখ ৫ হাজার টাকা থেকে; বুলেট মডেলের দাম শুরু হবে চার লাখ ১০ হাজার টাকা থেকে এবং মেটিওর মডেলের দাম শুরু হবে চার লাখ ৩৫ হাজার টাকা থেকে।তিনি বলেন, এই চারটি মডেলে থাকবে উন্নত ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম এবং পরিমার্জিত সিঙ্গেল-সিলিন্ডার ‘জে’ (J) সিরিজের ইঞ্জিন।

এছাড়া রঙ ও ব্রেকিং সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে আলাদা ভেরিয়েন্টও থাকবে।রয়েল এনফিল্ড বিভাগের হেড অব বিজনেস বলেন, আজ মোটরসাইকেলগুলো সবার সামনে আনা হলেও আজ থেকেই বিক্রি শুরু হবে না। রয়্যাল এনফিল্ডের মোটরসাইকেল কিনতে হলে প্রি-বুকিং বাধ্যতামূলক। ক্রেতারা এটি ওয়েবসাইট ও শোরুম থেকে ক্রয় করতে পারবেন। আগামীকাল সকাল ১০টা থেকে প্রি-বুকিং শুরু হবে।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের অনুমতি দেয়।

এরপর বাজাজ, হোন্ডা, ইয়ামাহা এবং রয়েল এনফিল্ড বাংলাদেশে হায়ার সিসির বাইক আনতে তোড়জোর শুরু করে। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হায়ার সিসির বাইক এ দেশেই সংযোজন করতে হবে। এমনকি মোটরসাইকেলের বেশ কিছু যন্ত্রাংশ এ দেশেই তৈরি করতে হবে। সেই নিয়ম মেনেই রয়েল এনফিল্ড ইফাদ অটোসকে দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশে এই বাইক উৎপাদন, ইঞ্জিন সংযোজন এবং বাজারজাতকরণের।