আগামী ৭ জানুয়াী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন । নির্বাচন কে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষর ঘটনা ঘটছে । আর এ নির্বাচনী প্রচারনা নিয়ে নওগাঁর রাণীনগরে দুপক্ষের দ্বন্দ্বে হামলা ও মারপিটের ঘটনায় থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দায়েরকৃত দুটি মামলায় মোট ৭৭জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় থানা পুলিশ বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। হামলার ঘটনায় নৌকা প্রতিকের সমর্থক কাশিমপুর গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে বাদল হোসেন বাদী হয়ে ট্রাক প্রতিকের কর্মী-সমর্থক ১১জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৩০/৪০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মঙ্গলবার সন্ধায় থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে ট্রাক প্রতিকের সমর্থক কাশিমপুর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে অফিল উদ্দীনকে ঘটনার সাথে জরিত সন্দেহে গ্রেপ্তার করে। অপরদিকে ট্রাক প্রতিকের কর্মী আহত আনোয়ার হোসেনের ছেলে সবুজ আলী বাদী হয়ে মঙ্গলবার সন্ধায় কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৬জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৮/১০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামরার প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েতুর রহমান সেন্টু এবং ঘটনার সাথে জরিত সন্দেহে নৌকার সমর্থক খট্রেশ^র পশ্চিমপাড়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে রুস্তম আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ জানান,হামলা ও মারপিটের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে ট্রাক প্রতিকের একজন ও নৌকা প্রতিকের দুইজন কর্মী/সমর্থকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবারই আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ জরিতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য,সোমবার সন্ধায় উপজেলার কাশিমপুর চারাপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনিত প্রার্থী এমপি আনোয়ার হোসেন হেলালের নৌকা প্রতিকের সমর্থক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমনের ট্রাক প্রতিকের সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে দ্বন্দ্বে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এতে নৌকার সমর্থক বাদল হোসেনসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। এরপর ওই রাতেই ট্রাক প্রতিকের কর্মী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি পশ্চিম বালুভরা গ্রামের মনছের আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৫০) এর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আনোয়ার হোসেনের দাঁত ও পা ভেঙ্গে যায়। এ ছাড়া একই সময় উপজেলা সেচ্ছা সেবকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মালেকসহ আরো কয়েক জনের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে।