ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালি। অথচ, এই দলটিই কি না টানা গত দুটি বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি। শুধু তাই নয়, আগামী ইউরোতেও তাদের খেলা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো।
তবে শুক্রবার রাতে নর্থ মেসিডোনিয়াকে ৫-২ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে জার্মানিতে অনুষ্ঠিতব্য ইউরোয় খেলার কাছাকাছি পৌঁছেছে আজ্জুরিরা। এই জয়ের ফলে ৭ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ইতালিয়ানরা। সমান পয়েন্ট ইউক্রেনেরও। মজার বিষয় হলো বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচটি ইতালি খেলবে ইউক্রেনের বিপক্ষেই।
আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচটি। ইতালি জিতলে তো কথাই নেই, ড্র করলেও সরাসরি ইউরোতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলবে। তবে হারলে চলে যেতে হবে প্লে-অফ রাউন্ডে। ইতালির জন্য নর্থ মেসিডোনিয়া দুর্বোধ্য এক প্রতিপক্ষের নাম। বারবার এই দলটির সামনে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হয় আজ্জুরিদের। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে এই নর্থ মেসিডোনিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিলো ইতালিকে।
এছাড়া বর্তমান কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তির দায়িত্ব নেয়ার পর গত সেপ্টেম্বরে প্রথম ম্যাচেই দলটির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিলো তারা। ওই ম্যাচটিও ছিলো ইউরো বাছাই পর্বের।
অবশেষে ঘরের মাঠে পেয়ে ৫ বার মেসিডোনিয়ার জালে বল জড়ালো ইতালি। ২টি হজম করলেও বড় ব্যবধানে জয় নিয়েই ইউরোর পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে তারা। ম্যাচের পর লুসিয়ানো স্পালেত্তি বলেন, ‘আমাদের যোগ্যতা এবং সামর্থ্য সবই আছে। আগে হোক কিংবা পরে- আমরা ঠিকই গোল করবো। তবে কাউন্টার অ্যাটাকগুলো (মেসিডোনিয়ার) ছিল খুবই ভয়ঙ্কর। প্রথমার্থে সমস্যায় না পড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকবার সমস্যায় পড়তে হয়েছিলো আমাদের।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে ইতালির হয়ে প্রথম গোল করেন মাতেও ডারমিয়ান। ৪১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন ফেডেরিকো চিয়েসা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার খানিক আগে, ইনজুরি সময়ে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন চিয়েসা।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর কিছুক্ষণ পরই কাউন্টার অ্যাটাক থেকে একটি গোল শোধ করে দেয় মেসিডোনিয়া। ৫২তম মিনিটে গোলটি করেন জানি অ্যাতানাসভ। ৭৪তম মিনিটে আরও একটি গোল শোধ করে দেন একই ফুটবলার। ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-২ এ। ইতালিয়ানরাও শঙ্কায় পড়ে যায় এ সময়। কিন্তু ৮১তম মিনিটে ইতালিকে চতুর্থ গোল উপহার দেন জিয়াকোমো রাসপাদোরি। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার খানিক আগে, ৯০+৩ মিনিটে দলের পঞ্চম গোলটি করেন স্টিফেন এল সারাউই। শেষ পর্যন্ত ৫-২ ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইতালি।