উওর বঙ্গের একটি বৃহৎ জেলা নওগাঁ । অর্থনৈতিক দিক দিয়ে জেলাটি কৃষির উপর নির্ভশীল হলেও গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক পিছিয়ে আছে । এরই ধারাবাহিকতায় জেলার ১১টি উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ১১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এতে নওগাঁবাসীর মধ্যে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। উন্নয়নের চমক পেয়ে শহরে মিষ্টি বিতরণ করেছেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন উচ্ছ্বসিত মানুষ। এ সময় প্রধান সড়কে দাঁড়িয়ে পথচারী, রিকশাচালক ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে মিষ্টি খাওয়ান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ উন্নয়নে বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের চেহারায় ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দিয়েছে বর্তমান সরকার। পদ্মা সেতু, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল, ঢাকায় মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে দেশবাসীর জন্য বিশাল উপহার।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশে শেখ হাসিনার উন্নয়নের জোয়ার বইছে। মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন হয়েছে। জনগণের আর্থসামাজিক মর্যাদা বেড়েছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নওগাঁ এরইমধ্যে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছে সরকার। এবার নতুন করে শেখ হাসিনা নওগাঁবাসীর জন্য ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উপহার দিলেন।
নওগাঁবাসীর আরও আনন্দের খবর হলো জেলা শহরে চারলেন প্রকল্প অল্পদিনের মধ্যেই একনেকে অনুমোদন হতে যাচ্ছে। এছাড়া পৌরসভার উন্নয়নে ব্যাপক অর্থবরাদ্দ দিচ্ছে সরকার। শেখ হাসিনার এ উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মিষ্টি বিতরণকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ খালেক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, নওগাঁ চেম্বারের সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, বিভাস মজুমদার গোপাল, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ বকুল, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার রায়, ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান উপস্থিত ছিলেন।