ঢাকা ০৮:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বায়ুদূষণে শ্বাসকষ্টে ভুগছে দিল্লির ৭৫ শতাংশ শিশু

বায়ুদূষণে শ্বাসকষ্টে ভুগছে দিল্লির ৭৫ শতাংশ শিশু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বাতাসে এমনিতে বছর জুড়ে দূষণ চললেও শীতকালে তার মাত্রা অনেক অংশে বেড়ে যায়। অব্যাহত এই বায়ুদূষণের ফলে দেশটির রাজধানী শহরে দিন দিন বেড়ে চলেছে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা।

সম্প্রতি এক গবেষণায় বিষয়টি আরও একবার স্পষ্ট হলো। রাজধানী নয়াদিল্লি ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটট (টেরি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে তারা জানিয়েছে, দিল্লির ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের ৭৫ দশমিক ৪ শতাংশই মৃদু কিংবা মাঝারি মাত্রার শ্বাসকষ্টে ভুগছে।

এসবের বাইরে চোখে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া জনিত উপসর্গে ভুগছে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ, দীর্ঘস্থায়ী সর্দিতে ভুগছে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং শুকনো কাশিতে ভুগছে ২০ দশমিক ৯ শতাংশ অপ্রাপ্তবয়স্ক।

টেরির গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতে বুধবার (১৩ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তথ্যটি জানিয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লিতে বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসতন্ত্র ও হৃদযন্ত্রের নানাবিধ সমস্যায় আক্রান্ত অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যাও প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 টেরির গবেষক দলের অন্যতম সদস্য কানাহাইয়া লাল হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, স্বাস্থ্যকর ও দূষণমুক্ত প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সর্বোচ্চ ৬০ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত সিসা বা অন্যান্য ধাতব অনু থাকতে পারে।

তার মতে, যদিও দিল্লিতে ২০১৯ সালে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সিসা ও অন্যান্য ধাতব অনুর পরিমাণ ছিল ২৩৩ ন্যানোগ্রাম এবং ২০২০ সালে তা বেড়ে পৌঁছায় ৪০৬ ন্যানোগ্রামে। তার মধ্যে মারাত্মক বিষ আর্সেনিক অনুর উপস্থিতি ছিল ৩ ন্যানোগ্রাম।

ভারতের চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দিল্লির বাতাসের বর্তমান যে পরিস্থিতি, তাতে দিল্লিবাসীদের অধিকাংশই মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন। বাতাসে সিসার পাশাপাশি নিয়মিত বাড়ছে ক্যাডমিয়াম ও আর্সেনিকের উপস্থিতি এবং তার ফলে দিল্লির বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সার, কিডনি সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হৃদযন্ত্রের সমস্যার মতো শারীরিক অসুস্থতা।

ট্যাগস

বায়ুদূষণে শ্বাসকষ্টে ভুগছে দিল্লির ৭৫ শতাংশ শিশু

আপডেট সময় ১২:৫৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বাতাসে এমনিতে বছর জুড়ে দূষণ চললেও শীতকালে তার মাত্রা অনেক অংশে বেড়ে যায়। অব্যাহত এই বায়ুদূষণের ফলে দেশটির রাজধানী শহরে দিন দিন বেড়ে চলেছে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা।

সম্প্রতি এক গবেষণায় বিষয়টি আরও একবার স্পষ্ট হলো। রাজধানী নয়াদিল্লি ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটট (টেরি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে তারা জানিয়েছে, দিল্লির ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের ৭৫ দশমিক ৪ শতাংশই মৃদু কিংবা মাঝারি মাত্রার শ্বাসকষ্টে ভুগছে।

এসবের বাইরে চোখে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া জনিত উপসর্গে ভুগছে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ, দীর্ঘস্থায়ী সর্দিতে ভুগছে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং শুকনো কাশিতে ভুগছে ২০ দশমিক ৯ শতাংশ অপ্রাপ্তবয়স্ক।

টেরির গবেষণা প্রতিবেদনের বরাতে বুধবার (১৩ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তথ্যটি জানিয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লিতে বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসতন্ত্র ও হৃদযন্ত্রের নানাবিধ সমস্যায় আক্রান্ত অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যাও প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 টেরির গবেষক দলের অন্যতম সদস্য কানাহাইয়া লাল হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, স্বাস্থ্যকর ও দূষণমুক্ত প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সর্বোচ্চ ৬০ ন্যানোগ্রাম পর্যন্ত সিসা বা অন্যান্য ধাতব অনু থাকতে পারে।

তার মতে, যদিও দিল্লিতে ২০১৯ সালে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে সিসা ও অন্যান্য ধাতব অনুর পরিমাণ ছিল ২৩৩ ন্যানোগ্রাম এবং ২০২০ সালে তা বেড়ে পৌঁছায় ৪০৬ ন্যানোগ্রামে। তার মধ্যে মারাত্মক বিষ আর্সেনিক অনুর উপস্থিতি ছিল ৩ ন্যানোগ্রাম।

ভারতের চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দিল্লির বাতাসের বর্তমান যে পরিস্থিতি, তাতে দিল্লিবাসীদের অধিকাংশই মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন। বাতাসে সিসার পাশাপাশি নিয়মিত বাড়ছে ক্যাডমিয়াম ও আর্সেনিকের উপস্থিতি এবং তার ফলে দিল্লির বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ছে ক্যান্সার, কিডনি সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হৃদযন্ত্রের সমস্যার মতো শারীরিক অসুস্থতা।