ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরে ফ্রি ফায়ার গেমে ‘হেরে গিয়ে’ যুবকের আত্মহত্যা

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বন্ধুদের সঙ্গে ফ্রি ফায়ার গেমে হেরে গিয়ে মিঠু (২১) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৮ জুলাই) ভোরের দিকে উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মিঠু ওই গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে। তিনি তার মায়ের সঙ্গে বাড়িতে একাই থাকতেন ও একটি দোকানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

নিহত মিঠুর মা বলেন, ‘আমার ছেলে অনেকদিন ধরে মোবাইলে কি যেন নাকি খেলে। বাসায় গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল টিপাটিপি করত। অনেকবার বাধা দেয়ার পরও কথা শোনেনি। আইজ মোবাইলটায় মোর বেটাক মারি ফেলাইল।’

স্থানীয়রা জানান, মিঠু দীর্ঘদিন ধরে ফ্রি ফায়ার গেমে আসক্ত। প্রায় সময়েই বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে এই খেলায় হারতেন। এজন্য প্রায়ই তার মন খারাপ থাকত।

একই কারণে রোববার ভোরে নিজ শয়নকক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ট্যাগস

দিনাজপুরে ফ্রি ফায়ার গেমে ‘হেরে গিয়ে’ যুবকের আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০৫:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বন্ধুদের সঙ্গে ফ্রি ফায়ার গেমে হেরে গিয়ে মিঠু (২১) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৮ জুলাই) ভোরের দিকে উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মিঠু ওই গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে। তিনি তার মায়ের সঙ্গে বাড়িতে একাই থাকতেন ও একটি দোকানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

নিহত মিঠুর মা বলেন, ‘আমার ছেলে অনেকদিন ধরে মোবাইলে কি যেন নাকি খেলে। বাসায় গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল টিপাটিপি করত। অনেকবার বাধা দেয়ার পরও কথা শোনেনি। আইজ মোবাইলটায় মোর বেটাক মারি ফেলাইল।’

স্থানীয়রা জানান, মিঠু দীর্ঘদিন ধরে ফ্রি ফায়ার গেমে আসক্ত। প্রায় সময়েই বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে এই খেলায় হারতেন। এজন্য প্রায়ই তার মন খারাপ থাকত।

একই কারণে রোববার ভোরে নিজ শয়নকক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।